লন্ডন: কোচ বদলে কী ভাগ্য বদলাবে চেলসির। এক ম্যাচের নিরিখে সেটা বলা সম্ভব না হলেও স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে অভিষেকটা সুখের হল না থমাস টাচেলের। মঙ্গলবার অফিসিয়ালি কোচের পদে বসার পর বুধবার উলভসের বিরুদ্ধে লন্ডনের ক্লাবে কোচিং অভিষেক হল পিএসজি’র প্রাক্তন কোচের। কিন্তু নয়া কোচের অভিষেক ম্যাচে গোলশূন্য আটকে গিয়ে প্রিমিয়র লিগ টেবিলে নিজেদের অবস্থান উন্নত করতে ব্যর্থ হল ব্লুজ’রা।
যদিও সারা ম্যাচে ৭৮ শতাংশেরও বেশি বলের অধিকার নিজেদের দখলে রেখে প্রিমিয়র লিগ রেকর্ড গড়ে ফেলল থমাস টাচেলের চেলসি। কী সেই রেকর্ড? স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে চেলসি ফুটবলাররা নিজেদের মধ্যে ৪৩৩টি পাস খেলেন। ২০০৩-০৪ পর থেকে প্রিমিয়র লিগের কোনও ম্যাচে কোনও দল প্রথমার্ধে এত পাস খেলেনি নিজেদের মধ্যে। নির্ধারিত ৯০ মিনিট সময়ে অর্থাৎ, গোটা ম্যাচে চেলসি ফুটবলাররা এদিন ৮২০টি পাস খেলেন নিজেদের মধ্যে। সঙ্গে সারা ম্যাচে চেলসি ফুটবলারদের বলের অধিকার ছিল ৭৮.৯ শতাংশ।
যতদূর জানা গিয়েছে, এই জোড়া পরিসংখ্যানই প্রিমিয়র লিগ অভিষেকে যে কোনও কোচের ক্ষেত্রে রেকর্ড। ২০১৬ মে মাসে টাচেলের অধীনে বুন্দেসলিগায় বরুসিয়া ডর্টমুন্ড কোলনের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধে ৫০৩টি পাস খেলেছিল। এরপর টাচেলের প্রশিক্ষণাধীন ক্লাব হিসেবে চেলসি এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে এত বেশি পাস খেলার নজির গড়ল। উল্লেখ্য, ডর্টমুন্ডের পর ২০১৮ ফ্রান্সের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব পিএসজির কোচের পদেও সাফল্য পেয়েছেন বছর সাতচল্লিশের টাচেল। তাঁর অধীনেই গত মরশুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেলেছিলেন এমবাপেরা। কিন্তু গত ডিসেম্বরে টাচেলকে সরিয়ে পোচেত্তিনোর হাতে ক্লাবের দায়িত্ব তুলে দেয় পিএসজি ম্যানেজমেন্ট।
এদিকে চেলসির কোচের পদ থেকে সম্প্রতি বরখাস্ত হয়েছেন ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। পরিবর্তে মঙ্গলবার দেড় বছরের চুক্তিতে ল্যাম্পার্ডের জুতোয় পা গলিয়েছেন অভিজ্ঞ টাচেল। প্রথম ম্যাচে ড্র করে হতাশ নন জার্মান কোচ। তিনি ম্যাচ শেষে জানান, ‘আমি দলের খেলা দারুণ উপভোগ করেছি। আমার দলের মনোভাব, এনার্জি আমায় আশ্বস্ত করেছে। আমরা সংগঠিত ফুটবল খেলেছি। পারফরম্যান্স নিয়ে বলতে গেলে আমি দারুণ খুশি। দুর্ভাগ্যবশত গোল করতে পারিনি। তবে এরকম পারফরম্যান্স বজায় থাকলে ফলাফল কেবল সময়ের অপেক্ষা।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.