রাজীব-বৈশালী সহ তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক অনুপস্থিত বিধানসভার অধিবেশনে! '৩১ শের ধামাকা'র আগে জোরালো জল্পনা
মানকুণ্ডুর সভায় তিনি জানিয়েছিলেন যে খুব শিগগির তৃণমূল ২ টো বড় ধাক্কা খাবে। এরপরই দেখা যায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ, প্রবীর ঘোষালের পদত্যাগ, ও বৈশালীর দল বিরোধী মন্তব্যের জন্য তৃণমূলের কড়া পদক্ষেপের ঘটনা। এরপর শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ৩১ জানুয়ারি হাওড়ার বুকে বড় ধমাকা হবে। এদিকে, রাজ্য বিধানসভায় একাধিক তৃণমূল নেতার গড়হাজিরা ব্যাপক জল্পনা তৈরি করল।

যোগদান ছিল বাধ্য়তামূলক, গিয়েছিল এসএমএস
প্রসঙ্গত, বিধানসভার অধিবেশন কৃষি আইনের বিরোধিতার প্রেক্ষিতে তৃণমূলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই নিয়ে আগেই তৃণমূলের পরিষদীয় দলের তরফে হুইপ জারি করা হয়। আর তার সঙ্গে বাধ্যতামূলক করা হয় অধিবেশনে যোগদান। মোদী সরকারের কৃষযিআইনের বিরোধিতায় নেমে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিতেই এই ডাক। এজন্য বিধায়কদের ফোন না করা হলেও, গিয়েছিল এসএমএস। এরপর বিধানসভায় যা ঘটেছে তা ফের রাজ্য রাজনীতির নজর কাড়ছে।

রাজীব ফ্যাক্টর ও হাওড়া
মন্ত্রিত্ব থেকে সদ্য পদত্যাগ করেছেন হাওড়ার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের আগে তিনি সোচ্চার কণ্ঠে দাবি করেছেন যে তিনি ডোমজুড় থেকেই লড়বেন। এদিকে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার তরফে রাজীবের কাছে ফোন আসে বলে খবর। আর ফোনে তাঁর কাছ থেকে ৩ মাস সময় চাওয়া হয়। যাতে তাঁর দাবি করা সমস্যাগুলি মেটানো যায়। এদিকে এরপরও বিধানসভার অধিবেশনে গড় হাজির ছিলেন রাজীব।

হাওড়ার ৩ বিধায়ক অনুপস্থিত
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও এদিন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বিধায়র বৈশালী ডালমিয়াকে দেখা যায়নি অধিবেশনে। অধিবেশনে আসেননি লক্ষ্মীরতন শুক্লও। পদত্যাগের সময় তিনি জানিয়েছিলেন যে মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে তিনি বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না। তবে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার বার্তা দেন লক্ষ্মী।

অনুপস্থিত আরও এক নেতা
এছাড়াও হুগলির তৃণমূলের মুখপাত্র ও কোর কমিটির থেকে পদত্যাগ করা প্রবীর ঘোষালকেও বিধানসভার অধিবেশনে দেখা যায়নি। ফলে তৃণমূলের ৪ বিধায়কের এই অনুপস্থিতি রীতিমতো বাংলার রাজনীতির বুকে জল্পনার মাত্রা চড়িয়েছে বলে খবর।

হাওড়ায় ৩১ এ ধমাকা!
এদিকে, হাওড়ার ৩ বিধায়ক যখন বিধানসভায় অনুপস্থিত তখন শুভেন্দু অধিকারীর সদ্য দেওয়া বার্তা নিয়ে জল্পনা চড়ছে। তিনি বলেছেন, ৩১ জানুয়ারি হাওড়াতে বড়সড় ধামাকা হবে। তিনি দাবি করেছেন, বহু পরিচিত তৃণমূলের মুখ সেদিন অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দেবেন। আর শুভেন্দুর বক্তব্যের পর এবার জল্পনার পারদ আরও চড়ছে।