হিন্দু ধর্ম নিয়ে বিতর্কে প্রস্তুত 'হিন্দু' মমতা! মোদীর কাজ নিয়ে বিস্ফোরক পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদী (narendra modi) সরকারের কাজ নিয়ে চড়া আক্রমণ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee)। ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন হিন্দু ধর্ম (hindu) নিয়ে বিতর্কে প্রস্তুত। । পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ মোদী জমানায় রাজ্যের সব ক্ষমতা কেন্দ্র দখল করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
মমতার সরকারের কাজের প্রশংসায় তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থা! ২১-এর আগে তৃণমূলের হাতে নয়া অস্ত্র

ভিক্টোরিয়ার অনুষ্ঠান নিয়ে মমতা
ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, নেতাজির জন্ম বার্ষিকীতে অনুষ্ঠান করা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও সমন্বয় করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি প্রশ্ন করেন, পরাক্রম দিবস কী? এব্যাপারে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও কথাও বলেনি কেন্দ্র। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল নেতাজির জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকারি অনুষ্ঠানে ডিগনিটি থাকা উচিত। কিন্তু সেখানে রাজনৈতিক স্লোগান তোলা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, এই ধরনের অনুষ্ঠানে গেলেই সরকারের তরফে বিজেপির লোকদের সেখানে পাঠানো হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নিজেদের পার্টির প্ল্যাটফর্মে স্লোগান দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু অনুষ্ঠানটি নেতাজির অনুষ্ঠান। সেই কারণেই তিনি পুরো সময়টা বসেছিলেন। বেরিয়ে যাননি। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাও করেননি, কেন এই ধরনের কাজ করা হল। তিনি বলেন, ভগবান রাম কার পুজো করেছিলেন, দুর্গার। তিনিও দুর্গার পুজো করেন। তিনিও হিন্দু। তিনি হিন্দু ধর্ম নিয়ে বিতর্কের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।

কেন্দ্র ও রাজ্যের ক্ষমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র রাজ্য সরকারের সব ক্ষমতা দখল করেছে। ফেডারেল স্ট্রাকচারকে বুলডোজড করা হয়েছে। প্রত্যেক দিন তারা বলে এক দেশ, এক দল। কিন্তু কেন্দ্র রাজ্যের খাদ্যের ওপর ভর্তুকি তুলে দিয়েছে। তারা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন তুলে দিয়েছে। কে কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেবে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দেশটা কি একটা মানুষের জন্য, নাকি সবার জন্য প্রশ্ন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে জনপ্রিয় হয়ে থাকতে দিন। কেননা তিনি চেয়ারকে শ্রদ্ধা করেন। বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গ বাংলার নির্বাচন
রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে মমতা বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত। তিনি বলেন বিজেপি চাইলেও তিনি খুন, হিংসা চান না। পাশাপাশি তিনি বলেন, তিনি সর রাজ্যপালকে শ্রদ্ধা করেন। তবে তিনি তাঁকে দোষ দিতে চান না। রাজ্যপালরা মনোনীত হন, তাঁরা রাজনৈতিক নন। কিন্তু একজন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত। সেখানে সমন্বয় থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন জনপ্রিয়
দিল্লির সীমান্তে কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে জনপ্রিয় আন্দোলন বলে মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় কৃষকদের পৌঁছে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বিষয়টিকে গোয়েন্দা ব্যর্থতা কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সরকার যেভাবে আন্দোলনের মোকাবিল করছে, তারও সমালোচনা করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাঁর পঞ্জাবি ভাইবোনের ঐক্যবদ্ধ। তবে এই আইনের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধ বলে দাবি করেছেন তিনি।