২০২২ সালের শেষ পর্যন্ত চলবে ভারতের টিকাকরণ কর্মসূচী, জানাচ্ছে সমীক্ষা
চিন এবং ভারতে কোভিড–১৯ এর বিরুদ্ধে বিরাট টিকাদান কর্মসূচিগুলি সম্ভবত জনসংখ্যার নিখুঁত আকারের কারণে ২০২২ সালের শেষের দিকে অব্যাহত থাকবে বলে নতুন এক সমীক্ষায় জানানো হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ করে এটাও জানিয়েছে যে ৮৫টির বেশি দরিদ্র দেশগুলিতে ২০২৩ সালের আগে কেবলমাত্র সীমিত সংখ্যায় ভ্যাকসিন থাকবে। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে দ্রুত বিকাশ হওয়া ভ্যাকসিনগুলি মহামারি শেষ হওয়ার আশা দেখিয়েছিল কিন্তু সীমিত সংখ্যায় ভ্যাকসিনের উৎপাদন, অসম বন্টন এবং শটের গণ চাহিদা এ নিয়ে সন্দেহের বীজ বপন করেছে।

হু জানিয়েছে যে ধনী দেশ ও ফার্মা সংস্থাগুলির মধ্যে দ্বিপাক্ষীয় চুক্তিও বেশ উদ্বেগের বিষয়। ইকোনমিস্ট ইন্টালিজেন্স ইউনিট জানিয়েছে যে উৎপাদন যখন প্রধান প্রতিবন্ধকতার ভূমিকা পালন করে, তখন আসন্ন মাসগুলিতে কোন উন্নয়নশীল দেশ ভ্যাকসিন পেতে পারে তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ভ।আকসিন কূটনীতি বিরাট ভূমিকা পালন করে। ইকোনমিস্ট ইন্টালিজেন্স ইউনিটের ডিরেক্টর আগাথা ডিমারিস বলেন, '২০২৩ সালের আগে অধিকাংশ উন্নয়নশীল দেশই ভ্যাকসিন শট পাবে না।’ তবে এই সমীক্ষায় এও জানানো হয়েছে যে চিন এবং ভারত বিশেষ কেসগুলিকে প্রতিনিধিত্ব করছে। উভয় দেশই নিজেদের শট উৎপাদন করেছে এবং তা অন্যান্য দেশে সরবরাহের পরিকল্পনাও করছে। কিন্তু এই দুই দেশের জনসংখ্যা এতটাই বিশাল যে টিকাকরণ কর্মসূচী সারতে সারতে ২০২২ সালের শেষদিক হয়ে যেতে পারে। যেমনটা অধিকাংশ মধ্য আয় দেশগুলির সময়সূচী রয়েছে।
ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বেশিরভাগ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলি সহ সামনের সারির দেশগুলি মার্চ মাসের মধ্যে তাদের অগ্রাধিকার গোষ্ঠীগুলিকে টিকা প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে, অন্যান্য ধনী দেশগুলি জুনের শেষের দিকে টিকাকরণ কর্মসূচী শুরু করে দেবে। আগাথা এও বলেন, 'তাই আমরা আশা করি যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনাগুলি ২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকে ছন্দে ফিরতে শুরু করবে, তৃতীয় এবং চতুর্থ প্রান্তরে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রত্যাবর্তনের গতি বাড়বে। তবে ততদিনেও জীবন স্বাভাবিক হয়ে উঠবে না, কারণ ২০২২ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত বেশিরভাগ লোকের টিকাকরণ চলবে।’

২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে সব থেকে কম মৃত্যু কলকাতায়! জেলাগুলিতেও স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি