হায়দরাবাদ: পরপর ১৮টি খুন। ১৮ জনই মহিলা। হায়দরাবাদ এতদিন তটস্ত ছিল এই সিরিয়াল কিলার। এবার সেই আতঙ্ক থেকে বাঁচল শহর। পুলিশের হাতে শহরের জুবিলি হিলস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে।

৪ জানুয়ারি ভেঙ্কটাম্মা নামে এক মহিলাকে খুন করার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। অভিযুক্তের নাম মাইনা রামুলা। তাকে যাতে চিনতে না পারা যায় তাই সে তার মুখ পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দিয়েছিল। ২০ দিন টানা তদন্তের পর ওই সিরিয়াল কিলারকে গ্রেপ্তার করা হয়। রামুলুকে এর আগে জেল হেফাজতে রাখা হয়েছিল। ২০১১ সালে সে জেল থেকে ছাড়া পায়। রাচাকোন্ডার সিপি মহেশ ভাগবত জানিয়েছেন, সে সেইসব মহিলাদের টার্গেট করত যাঁরা মদের দোকানে যেতেন। এর মধ্যে সে ১৮ জন মহিলাকে খুন করেছে। রাচাকোন্ডা পুলিশ কমিশনারেটের কাছে তার নথি রয়েছে। এছাড়া রঙ্গরেড্ডি ও মহেবুবনগর জেলাতেও তার ক্রাইমের রেকর্ড রয়েছে।

হায়দরাবাদ ও রাচাকোন্ডা পুলিশের জয়েন্ট টিম তাকে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ আরও ২টি খুনের মামলার সমাধান করেছে। তদন্তে রামুলু সম্পর্কেও উঠে এসেছে নতুন তথ্য। জানা গিয়েছে পেশাগতভাবে সে পাথর কাটার কাজ করে। বয়স তার ৪৫ বছর। হায়দরাবাদের বাসিন্দা রামুলু। এর আগে ২১টি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার মধ্যে ১৬টি খুনের মামলা। পুলিশ সূত্রে খবর, তারা বাবা ও মা তাকে ২১ বছর বয়সে বিয়ে দেন। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরই তাঁর স্ত্রী অন্যে একজনের সঙ্গে পালিয়ে যায়। তারপর থেকেই রামুলু মেয়েদের প্রতি হিংসাত্মক হয়ে ওঠে।

মাইনা রামালু মূলত সিঙ্গল মহিলাদের টার্গেট করত। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে আদালত যাবজ্জীবন কারাবাসের আদেশ দেয়। চেরলাপল্লি জেলে সে তার সাজা কাটছিল। সাজা কাটার সময়ই সে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে এরাগাড্ডার মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ২০১১ সালের ডিসেম্বরে আরও ৫ জনের সঙ্গে সে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার পর রামুলু আরও খুন করে। হায়দরাবাদের বউয়েলপল্লি, সাইবারবাদের চন্দন নগর থানা ও সাইবারবাদের দুনদিগল থানা এলাকা ছিল তার অপরাধের ক্ষেত্র। হায়দরাবাদের সিপি এই খবর জানিয়েছেন।

২০১৩ সালে পুলিশ ফের তাকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু ২০১৮ সালে সে হাই কোর্টে পিটিশন দাখিল করে। এরপর রামুলু জেল থেকে ছাড়া পায়। এরপর সে আরও ২টো খুন করে। একটি সাইবারবাদ থানার শামিরপেটে, অন্যটি সাঙ্গারেড্ডি জেলার পাচানছেরু থানা এলাকায়। এই ঘচনার পর রামুলু ফের গ্রেপ্তার হয় ও তাকে জেলে পাঠানো হয়। ২০২০ সালে সে জেল থেকে ছাড়া পায়। তারপর সে আরও ২ জন মহিলার খুন করে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।