কলকাতাঃ কয়লা পাচার-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের অন্যতম অভিযুক্ত অজিত মাঝি ওরফে লালা।

সেই মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখলেন বিচারপতির সব্যসাচী ভট্টাচার্য্য। আগামী সপ্তাহে রায়দানের সম্ভাবনা। আজ বুধবার দীর্ঘ সওয়াল-জবাব শেষে আদালত এই সংক্রান্ত মামলার রায়দান আপাতত স্থগিত রাখার কথা জানালেন।

কয়লা কাণ্ডে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তদন্তে নেমে অনুপ মাঝি ওরফে লালার খোঁজ পান তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরপর থেকেই লালার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। কিন্তু সেই তদন্ত করার নাকি এক্তিয়ারই নেই কলকাতা হাই কোর্টের। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি তোলেন লালার আইনজীবী ফারুক রাজ্জাক।

তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া এফআইআর খারিজ এবং সিবিআইয়ের তদন্তের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন লালা। গত কয়েকদিন আগে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যর এজলাসে মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই এই দাবি তুলেছেন লালার আইনজীবী রাজ্জাক।

সওয়াল-জবাবে লালার আইনজীবী আরও দাবি করেছেন, নিছক অপরাধমূলক কাজকর্মে যুক্ত বলে মনে করলেই, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত করা যায় না। এক্ষেত্রে তদন্ত চালিয়ে যেতে সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসনের সম্মতি প্রয়োজন।

সিবিআইয়ের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর পাল্টা বলেন, “কেন্দ্রীয় আইন অনুযায়ী রেলের এলাকায় যদি কোনও অপরাধমূলক কাজকর্ম সংগঠিত হয়, সেক্ষেত্রে সিবিআই তদন্ত করতে পারে। ইসিএলের এলাকা থেকে বেআইনি কয়লা উত্তোলন এবং কয়লা পাচারের অভিযোগ রয়েছে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।”

এই বক্তব্যের জবাবে মামলাকারীর আইনজীবী ফের বলেন, “যদি এটাই যুক্তি ধরতে হয়, তাহলে তো দেশের সব জায়গাই রেলের এলাকার মধ্যে পড়ে যাবে।” দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য লালার আইনজীবীর উদ্দেশে প্রশ্ন করেন,”তদন্ত হতে দিন, সমস্যা কোথায়?” আজ ফের মামলার শুনানি হয়।

শুনানি শেষে আদালত এই সংক্রান্ত মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছে। অন্যদিকে, কয়লা পাচারকাণ্ডে একাধিকবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নোটিস পাঠিয়ে তলব করার পরও লালা হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছে। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।