প্রশ্নের মুখে দিল্লির নিরাপত্তা! ষড়যন্ত্রের তত্ত্বের মাঝেই অভিযোগ দায়ের ৭ কৃষক নেতার বিরুদ্ধে
কৃষি আইনের বিরোধিতায় রাজধানী দিল্লিতে ট্রাক্টর মিছিলে নেমেছিল ৪১টি কৃষক ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা৷ ২৬ জানুয়ারির সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল রাজধানীতে৷ লালকেল্লার মত ঐতিহ্য়শালী দূর্গের দখল নিয়ে নেয় আন্দোলনকারীদের একাংশ৷ একাধিক গাড়ি ও বাসে ভাঙচুর চালানো হয়৷ এই পরিস্থিতিতে যোগেন্দ্র যাদব সহ মোট ৭ কৃষক নেতার বিরুদ্ধে দায়ের হল মামলা। যোগেন্দ্র যাদব, বুটা সিং ছাড়াও এফআইআর-এ নাম রয়েছে মেধা পাটকরেরও।

হাতিয়ার নিয়ে মিছিল
গতকাল তলোয়ার সহ একাধিক হাতিয়ার নিয়ে মিছিলে হাঁটতে দেখা যায় বহু আন্দোলনকারীকে৷ কিন্তু, কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল জাতীয় রাজধানীতে? পুলিশ নিজেদের হাতে থাকা সত্ত্বেও কেন ব্য়র্থ হল কেন্দ্র সরকার? এমনকি মিছিলে অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে জেনেও কেন সতর্ক হয়নি প্রশাসন? এমন একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷

রাজধানী কতটা নিরাপদ?
প্রশ্ন উঠেছে, সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন কৃষকদের মিছিল ঘিরে যদি এমন অরাজকতা সৃষ্টি হতে পারে৷ তবে, অন্য সময়ে রাজধানী কতটা নিরাপদ তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে৷ এমনকি জঙ্গি অনুপ্রবেশের মত ঘটনাও যে ঘটবে না, সেই নিশ্চয়তা কে দেবে? এমনই একাধিক প্রশ্ন ২৬ জানুয়ারির কৃষক মিছিলের ঘটনার পর উঠতে শুরু করেছে৷ যার কোনও জবাব এই মুহূর্তে কেন্দ্র সরকারের কাছে নেই৷

বিক্ষোভকারীদের কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন
এদিকে এই প্রেক্ষিতে এবার বিক্ষোভকারীদের কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানালেন কৃষক নেতারা। তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী আন্দোলন চালাতে হবে বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। সাধারণতন্ত্র দিবসে হিংসার ঘটনার পর বুধবার দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় বিক্ষোভকারী কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের নেতারা। আন্দোলনে হিংসা ছড়ানোর পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল বলে তাঁদের মত।

কৃষক নেতারা কী অভিযোগ করেছেন?
মঙ্গলবারের হিংসায় যাঁরা জড়িত, তাঁদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে কৃষক নেতারা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের আন্দোলনকে দুর্বল করার জন্যই চক্রান্ত করে হিংসার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের খণ্ডযুদ্ধের মাঝেই এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, ওটা দুর্ঘটনা। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবারের হিংসার জেরে ৩০০-রও বেশি পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। এই নিয়ে ২২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার মধ্যে চক্রান্তের অভিযোগেও একটি মামলা হয়েছে। মামলায় বেশ কয়েকটি কৃষক সংগঠনের নেতাদের নাম রয়েছে।

অভিযুক্ত পাঞ্জাবি অভিনেতা দীপ সিধু
লালকেল্লায় হিংসা ছড়ানোয় পাঞ্জাবি অভিনেতা দীপ সিধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন কৃষক নেতারা৷ এক কৃষক নেতার দাবি, 'দীপ সিধু সরকারের লোক। তাঁর ষড়যন্ত্র আমাদের বুঝতে হবে। কীভাবে এই লোকগুলো লাল কেল্লায় পৌঁছল? লাল কেল্লায় যারা হিংসা চালিয়েছে, তারা সর্দার নয়, গদ্দার।'