আগরতলা: কোথায় গেল চাকরির প্রতিশ্রুতি? ফিরিয়ে দাও চাকরি। এই দাবিতে গণ ধর্নার ৫১ তম দিনে মশাল মিছিলে গরম ত্রিপুরা।

একদিকে যখন দিল্লিতে কৃষক বিক্ষোভ চরমে, লালকেল্লা ঘিরে চলেছে প্রবল আন্দোলন ঠিক তখনই সাধারণতন্ত্র দিবসের সন্ধ্যায় রাজ্যের কর্মচ্যুত ১০৩২৩ মঞ্চের আহ্বানে বিরাট বিক্ষোভ মিছিলে ফের সরগরম আগরতলা।

মশাল নিয়ে মিছিল করে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া কিংবা বিকল্প রোজগার করুক সরকার এই দাবিতে ধর্নায় থাকা শিক্ষক শিক্ষিকারা মিছিল করলেন।

ইতিমধ্যেই এই আন্দোলনে অংশ নিয়ে ৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেউ কেউ আত্মঘাতী হয়েছেন। এক শিক্ষক আত্মঘাতী হওয়ার পর অভাবের জ্বালায় তাঁর স্ত্রী সহমরণ করতে গিয়েছিলেন। হৃদয় বিদারক এই ঘটনার জেরে গোটা দেশ নড়ে গিয়েছে আগেই। তারপরেই এক শিক্ষিকা নিজে বিষ খেয়ে সন্তানদের বিষ খাওয়ান। লাগাতার শিক্ষক শিক্ষিকার মৃত্যু মিছিল চলছে ত্রিপুরায়।

সোমবার এক শিক্ষকের মৃত্যুর জেরে শিক্ষা দফতর ঘেরাও অভিযান হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন শিক্ষা দফতরে ঢুকে পড়েন। তাদের কোনওরকমে সামাল দেন রক্ষীরা। অভিযোগ, রাজ্যের বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকার কর্মসংস্থানের প্রশ্নে নীরব।

রাজ্যে বিগত বাম সরকারের আমলে চাকরি পেরেছিলেন এই ১০৩২৩ জন শিক্ষক শিক্ষিকা। তবে আদালত বলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ত্রুটি আছে। বাম সরকার জানায় বিকল্প কর্মসংস্থান করা হচ্ছে। তবে সরকার পরিবর্তন হয়। বিজেপি আইপিএফটি জোট ক্ষমতায় আসে বাড়ি বাড়ি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে। কিন্তু এই ১০৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি বা বিকল্প কর্মসংস্থান করা হয়নি। বিকল্প রোজগারের দাবিতে গত বছর থেকে ধর্না আন্দোলন চালাচ্ছেন তাঁরা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।