লেহ: ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে লাদাখের এক হিমায়িত জলাশয়ের উপর জাতীয় পতাকা নিয়ে কুচকাওয়াজ করলেন ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের (আইটিবিপি) জওয়ানরা।সোমবার প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে এই উদ্যোগ নেন তাঁরা। এদিন ইন্দো তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) কর্মীকে বিভিন্ন বিভাগে পুলিশ সার্ভিস মেডেলও প্রদান করা হয়।
সহকারী কমান্ড্যান্ট অনুরাগ কুমার সিংহ এবং ডেপুটি কমান্ড্যান্ট রাজেশ কুমার লুথ্রা, এই দু’জনকে বীরত্বের জন্য পুলিশ মেডেল দেওয়া হয়। তিনজনকে রাষ্ট্রপতির পুলিশ মেডেল এবং বিশিষ্ট সেবার জন্য পুলিশ মেডেল দিয়ে সম্মানিত করা হয়। মঙ্গলবার আইটিবিপির এই দলটি প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের অংশ হতে চলেছে। এছাড়া লাদাখে চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য SFF-এর এই বীরত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ১৯৬২ সালের যুদ্ধের পর ভারতে বসবাসরত তিব্বতিরা একটি গোপন দলের সঙ্গে যুক্ত হন। এটিই হল স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্সে বা এসএফএফ। এর পর থেকে এই ইউনিটটি ১৯৭১ সালের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, ১৯৯৯ সালে কার্গিল সংঘাত এবং অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ মিশনের অংশ ছিল।
লাদাখে চলমান অভিযানের সময় এসএফএফ চিনাদের বিরুদ্ধে অভিযানের অন্যতম প্রধান অংশ ছিল। সুবেদার নিয়মা তেনজিন ২০২০ সালের ২০ আগস্ট প্যানগং লেকের দক্ষিণে অভিযানের সময় একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে শহিদ হন। লেহে তিব্বত সম্প্রদায়ের ভারতীয় সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করে। সম্ভবত এটিই ছিল গোপন বাহিনীর প্রথম প্রকাশ্য স্বীকৃতি।
স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স বা এসএফএফের বিষয়ে এখন পর্যন্ত খুব বেশি কথা হয়নি। চিনের সঙ্গে আট মাসের সামরিক লড়াইয়ের মধ্যে লাদাখ সীমান্তে সাম্প্রতিক পদক্ষেপ তাদের জনগণের সামনে এনেছে। লাদাখ অপারেশনের জন্য অন্যান্য বীরত্বের পুরষ্কারের মধ্যে একটি মহাবীর চক্র, ৫ টি বীর চক্র, ১৫ টি সেনা পদক এবং প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বীরত্ব পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়েছে। লাদাখের ৭ হাজার ৫০০ জন তিব্বতির মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৫০০ জন হয় আগে থেকেই এসএফএফের অংশ বা এখনও এসএফএফের হয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করছেন। ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধ, সিয়াচেন হিমবাহ দখলের জন্য ১৯৮৪ সালে অপারেশন মেঘদূত ও ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় এই বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
এদিকে ২০২০ সালের গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের প্রথম বিশদ বিবরণী প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। গত বছরের ১৫ জুন লাদাখে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং চিনের পিএলএ সেনার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষের ফলে ভারতের ২০ জন জওয়ান শহিদ হন। চিনেরও অনেকে মারা গিয়েছিল। কিন্তু সেই সংখ্যা এখনও অজানা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.