ওখনও তপ্ত দিল্লি, বন্ধ ইন্টারনেট, হরিয়ানায় জারি হাই অ্যালার্ট, কৃষক বিক্ষোভে জখম বেড়ে ১৯
ট্রাক্টর থামলেও থামেনি উত্তেজনা। দিল্লি এখনও ফুটছে উত্তেজনা। সিঙ্ঘু সীমান্তে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। অশান্তি হতে পারে আশঙ্কায় হরিয়ানায় জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। সব জেলার পুলিশ কর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে। যদিও কৃষকদের সংগঠন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা ট্রাক্টর ব়্যালিেত ইতি টেনেছে। আন্দোলন হিংসাত্মক পর্যায়ে যাওয়ার জন্য নিজেরা অনুতপ্ত বলে জানিয়েছেন। তবে এই হিংসা ছড়ানোর মূলে কিছু সমাজ বিরোধী বলে দাবি করেছেন তাঁরা। তাঁরাই কৃষক আন্দোলন বানচাল করার জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।

লালকেল্লায় জোর করে ঢুকতে গিয়ে পুলিসের সঙ্গে তীব্র ধস্তাধস্তি শুরু হয় কৃষকদের। পুলিশ কৃষকদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। লাঠিচার্জও করা হয় বলে অভিযোগ। দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৯ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ট্রাক্টর চাপা পড়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। কৃষকদের এই হিংসাত্মক আন্দোলনের তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি। প্রতিবাদে কলকাতা সহ দেশের একাধিক জায়গায় মিছিল করেছে বিজেপি।
বামেরা কৃষকদের উপর পুলিশের লাঠি চার্জের তীব্র নিন্দা করেছে। সীতারাম ইয়েচুরি ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। মহম্মদ সেলিম অভিযোগ করেছেন মোদী সরকার যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি করেছেন দিল্লিতে। যদি দিল্লির রাজপথে বাংলাদেশের সেনা প্যারেড করতে পারে তাহলে দেশের কৃষকরা কেন আন্দোলন করতে পারবে না বলে আক্রমণ শানিয়েছেন মহম্মদ সেলিম। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সরাসরি টুইটে এই নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। কেন্দ্রের উদাসীনতার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষক আন্দোলনকে লঘু করে দেখার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ মমতার।