স্টাফ রিপোর্টার, মালদহ : পদ্মশ্রী পুরুষ্কার পাচ্ছেন গুরুমা কমলিনী সরেন। সমাজসেবী হিসেবে পরিচিত তিনি। মালদহের গাজোল ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের কোদালহাটি এলাকায় তাঁর আশ্রম। সেই আশ্রমেই তাঁর বসবাস।
গাজোল তথা মালদহ জেলার বিভিন্ন ব্লকের আদিবাসী সামাজিক সমস্যা ও আদিবাসী পরিবারগুলির পাশে থেকে বিভিন্নভাবে সাহায্য প্রদান , প্রয়োজনে তাঁদেরকে নিজের আশ্রমে নিয়ে আসে সেবা-শুশ্রূষা করায় মূলত গুরুমার কাজ।
গাজোল ব্লকের গাজোল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কদুবাড়ি মোড় হইতে এক কিলোমিটার দূরে কোটালহাটি প্রাইমারি স্কুলের ঠিক পূর্বদিকে গুরুমার আশ্রমটি অবস্থিত।এই বছর পদ্মশ্রী পুরুষ্কারের তালিকায় নাম রয়েছে তার। এমন স্বীকৃতিতে খুশি গাজোল সহ মালদহবাসী।
এই প্রথম কোনও ব্যাক্তি এমন পুরুষ্কার পেলেন মালদহ থেকে। গুরুমা কমলিনী সোরেন জানান খুব ছোট বয়স থেকেই তাঁর স্থায়ী বাসস্থান হয়ে ওঠে এই আশ্রম। আধিবাসীদের মধ্যে ধর্ম পরিবর্তনের প্রবনতা তাকে খুবই আঘাত করেছে। তাই আধিবাসীদের মূলস্রোতে ফেরানোর জন্য তিনি কাজ করতে শুরু করেন।
আধিবাসীদের বাড়িতে তুলসীগাছ লাগানো। ভিন ধর্মে চলে যাওয়া আধিবাসীদের নিজ ধর্মে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন তিনি। গুরুমা কমলিনী সোরেনের জন্য গর্ববোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জানান এই মহিলা নিজে হতদরিদ্র হয়েও আধিবাসীদের উন্নয়নের জন্য লড়াই করছেন।
কোনও আধিবাসী অসুস্থ হলে আশ্রমে নিয়ে এসে তাঁদের সেবা শুশ্রুষা করে সুস্থ করে তোলেন। দেশের রাষ্ট্রপতি তাকে স্বীকৃতি দেওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।
এছাড়াও হাওড়ার শিবপুরের বাসিন্দা প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ এ বছরে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। ‘বাঁটুল দি গ্রেট’, ‘হাঁদা-ভোঁদা’, ‘নন্টে-ফন্টে’র স্রষ্টা শিল্পী নারায়ণ দেবনাথের নাম কেন্দ্রীয় সরকারের পদ্মশ্রী সম্মানে স্থান করে নিয়েছে। সোমবার দুপুরে দিল্লি থেকে তাঁর বাড়িতে ফোন আসে। তখনই শিল্পীর পরিবার এই খবর জানতে পারেন। নারায়ণ দেবনাথ এই মুহূর্তে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুখে ভুগছেন।
এখন তিনি বিশেষ ছবি আঁকেন না। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সম্মানে খুশি শিল্পীর পরিবার। নারায়ণ দেবনাথের সৃষ্টি কমিকস ‘বাঁটুল দি গ্রেট’, ‘হাঁদা-ভোঁদা’ ‘নন্টে-ফন্টে’ আজও আট থেকে আশি বাঙালি পাঠকদের সমান আনন্দ দেয়। উল্লেখ্য, এর আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে বঙ্গবিভূষণ পুরস্কারে সম্মানিত করেছিল।
শিল্পকলার জগতে নারায়ণ দেবনাথ এক কালজয়ী নাম। বাঙালির ছোটবেলার সঙ্গে তাঁর নাড়ির টান। তাঁর সৃষ্টির টানে নস্ট্যালজিয়া ডুবে যায় বাঙালি। বাঙালির সেই প্রিয় মানুষ এবার পদ্ম সম্মানে বিভূষিত হচ্ছেন। প্রসাধন সামগ্রীর লোগো, মাস্টারহেড, সিনেমা কোম্পানির লিফলেটে কাজ জুটলেও তাঁর স্বপ্ন সার্থক হয়েছিল শুকাতারা পত্রিকা হাতে আসার পর।
তাঁর সেই সৃষ্টিই তাঁকে আজ অনন্য সম্মান এনে দিল। আর মৌমা দাস বাংলার প্রথম টেবল টেনিস খেলোয়াড় যিনি পদ্ম সম্মান পেলেন। ভারতীয় হিসেবে তিনি দ্বিতীয় খেলোয়াড়।
এর আগে তামিলনাড়ুর শরত্ কমল পেয়েচিলেন পদ্ম সম্মান। এবার মৌমা পদ্ম সম্মান পেতে চলেছেন। তিনি পাঁচবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। তিনটি কমনওয়েল্থ গেমসে পদকজয়ী। সাউথ এশিয়ান গেমসে সোনা জিতে দেশের মুখ ঊজ্জ্বল করেছিলেন অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত মৌমা দাস।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.