বাবরি নয়, স্বাধীনতা সংগ্রামীর নামে অযোধ্যার মসজিদের নামকরণ! স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তর
অযোধ্য়ায় বাবরি বদলে তৈরি হতে চলা মসজিদের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড৷ ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়াই করা মৌলবি আহমেদুল্লাহ শাহ-র নামে নয়া ওই মসজিদের নামকরণ করা হবে৷ সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী অযোধ্য়ায় সরকারের দেওয়া জমিতে নয়া মসজিদ তৈরি করা হবে৷

শুরু হয় সবুজায়নের কাজ
এদিকে এদিন অযোধ্য়ায় মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের আগেই শুরু হল সবুজায়নের কাজ৷ মঙ্গলবার প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকায় বৃক্ষরোপন করলেন ইন্দো গাল্ফ ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের (আইআইসিএফ) সদস্য়রা৷ এদিনই অযোধ্য়ার ধন্নিপুর গ্রামে স্থাপিত হল নতুন মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর৷

ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন গঠন
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন গঠন করে৷ সেই বোর্ডের সদস্য়রা নিজেদের মধ্য়ে আলোচনায় সিদ্ধান্ত নেয়, অযোধ্য়ার এই মসজিদ ভারতের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করা হবে৷ তাই সেই মত আওয়াধ অঞ্চলের 'বিদ্রোহী বাতিঘর' নামে পরিচিত মৌলবি আহমেদুল্লাহ শাহ-র নামেই এই মসজিদের নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তাই মুঘল সম্রাট বাবরের নামে আর নয়া এই মসজিদের নাম রাখা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড৷

স্বাধীনতা সংগ্রামী মৌলবি আহমেদুল্লাহ শাহর নামেই মসজিদ
বোর্ডের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ট্রাস্ট অনেক চিন্তাভাবনা করেছে, যে নতুন তৈরি হওয়া এই অযোধ্য়া মসজিদের প্রকল্প স্বাধীনতা সংগ্রামী মৌলবি আহমেদুল্লাহ শাহর নামেই করা হবে৷ এমনকি এ নিয়ে বিভিন্ন মাধ্য়ম থেকে আমাদের একই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ এটা খুবই ভাল পরামর্শ৷ আলোচনার পর সরকারিভাবে এই নামটি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি৷

২০০ শয্য়ার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আইআইসিএফের সম্পাদক আতর হুসেন জানান, আহমেদউল্লার সম্মানে প্রস্তাবিত মসজিদের একটি অংশের নামকরণ করতে চান তাঁরা৷ কারণ, অযোধ্য়ার স্বাধীনতা যুদ্ধে আহমেদউল্লার ভূমিকা অবিস্মরণীয়৷ প্রসঙ্গত, অযোধ্য়ার নতুন মসজিদ চত্বরে ২০০ শয্য়ার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ সেখানে থাকবে একটি প্রকাশনা সংস্থা, কমিউনিটি কিচেন, একটি গ্রন্থাগার এবং একটি ইন্দো-ইসলামিক গবেষণা কেন্দ্র৷

মসজিদের নির্মাণ নিয়ে স্থানীয়রা খুব খুশি
এই প্রসঙ্গে হুসেন বলেন, 'মসজিদের নির্মাণ নিয়ে স্থানীয়রা খুব খুশি৷ গ্রামে এমন একটা বিশাল আকারের মসজিদ তৈরির কাজ শুরু হওয়ায় সবথেকে বেশি খুশি হয়েছেন স্থানীয় ইসলাম ধর্মীবলম্বীরা৷ আগামী দিনে মসজিদ চত্বরেই বিরাট হাসপাতাল তৈরি হবে৷ সেখানে বহু মানুষ চিকিৎসার সুযোগ পাবেন৷'