সবুজে মোড়া মহানন্দা অভয়ারণ্যের এক ঘাটে জল খায় বাঘ ও হরিণ
করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউন কিছুটা শিথিল হলেও ছয়ে ছুটির ঘোর যেন কাটতেই চাইছে না। সেই আনন্দেই যেদিকে খুশি বেড়িয়ে পড়ছে ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি। কেউ ছুটছেন সাগরে, তো কেউ জঙ্গলে। কারও পছন্দ আবার শুধুই পাহাড়। সেই তাঁরা, যাঁরা হিমালয়ের পথে অগ্রসর হওয়ার মনস্থ করেই ফেলেছেন, তাঁদের জন্য অপেক্ষায় বসে মহানন্দা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। সবুজে মোড়া বন্য অরণ্যে এক ঘাটে জল খায় বাঘ ও হরিণ।

অবস্থান
হিমালয়ের পাদদেশে তিস্তা ও মহানন্দা নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত মহানন্দা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য শিলিগুড়ি থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। দার্জিলিং জেলার অন্তর্গত সুকনা এই অরণ্যের প্রবেশ দ্বার।

কীভাবে পৌঁছবেন
আলাদা করে পরিকল্পনা না করে বরং শৈল শহরে ঢুঁ মারার পথে টুক করে মহানন্দা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ঘুরে দেখতে খুব বেশি সময় লাগে না। কলকাতা থেকে ট্রেনে বা বাসে শিলিগুড়ি পৌঁছে যে কোনও গাড়িকে বললেই নিয়ে গিয়ে দাঁড় করাবে সুকনা অরণ্যের গেটে। শিলিগুড়ি থেকে অভয়ারণ্যে পৌঁছতে তিরিশ মিনিট সময় লাগে। বাগডোগরা থেকে মহানন্দা অভয়ারণ্যে পৌঁছতে এক ঘণ্টা সময় লেগে যায়।

ইতিহাস
প্রায় ১৫৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের সুকনা অরণ্য ১৯৫৫ সালে গেম স্যানচুয়ারি হিসেবে পরিচিত ছিল। বাইসন, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণকে রক্ষা করতে ১৯৫৯ সালে এটিকে অভয়ারণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার। সর্বোচ্চ ১৩০০ মিটার উঁচু এই বনের ৬০ ভাগ পার্বত্যভূমি এবং অবশিষ্ট অংশ সমতল।

কী কী দেখবেন
কোনও রকম ভাবে টিকে থাকা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার মহানন্দ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের অন্যতম আকর্ষণ। দেখা মেলে এশীয় হাতি, বাইসন দেশী বন শুকর, সম্বর হরিণ, চিতাবাঘ, পাহাড়ি কালো ভাল্লুকেরও। বিভিন্ন মরসুমে এই বনে ভিড় করে বিভিন্ন প্রজাতি ও রংয়ের পরিযায়ী প্রাণী। যা দেখে মুগ্ধ হন পর্যটকরা।

কোথায় থাকবেন
মহানন্দা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য বা সুকনা বন ঘুরে দেখতে সময় লাগতে পারে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। এর জন্য নিকটস্থ কোথায় হোটেল বুকিংয়ের প্রয়োজন নেই। তবে জঙ্গলে কেউ রাত কাটাতে চাইলে সেনার কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিতে হবে।
ছবি সৌজন্য:ইউটিউব
ইছামতীর কোলঘেঁষা পারমাদনে ঘুমিয়ে নীরবতার সৌন্দর্য্য, ঘরের কোণে লুকিয়ে শান্তি