করোনা বিধি মেনে পালিত প্রজাতন্ত্র দিবস! রেডরোডের প্যারেড উৎসর্গ নেতাজির নামে
সারা দেশের সঙ্গে এদিন পশ্চিমবঙ্গেও পালিত হল ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবস ( republic day)। রাজ্যের সব থেকে বড় অনুষ্ঠানটি হল রেডরোডে। সেই অনুষ্ঠানে অভিবাদন গ্রহণ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়(jagdeep dhankhar) । হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ (mamata banerjee) রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য এবং প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা।

প্রজাতন্ত্র দিবসে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা
এদিন সকালে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে টুইট বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা, সাম্য, ভ্রাকৃত্ব। সংবিধানের সমস্ত আদর্শকে রক্ষা, সংরক্ষণ ও অনুসরণ করার জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি তিনি প্রত্যেক ভারতীয়কে প্রজাতন্ত্র দিবসে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

রেডরোডের প্যারেড উৎসর্গ নেতাজির নামে
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, এবার কলকাতায় প্যারেডকে দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে উৎসর্গ করা হয়েছে।

সতর্কতা অবলম্বন
করোনা পরিস্থিতিতে রেডরোডে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন। ফলে কর্মসূচিতে অনেকটাই কাঁটছাট করা হয়। সেনা জওয়ানদের কুচকাওয়াজ দেখার অনুমতি দেওয়া হয়নি সাধারণ দর্শকদের। সেই কারণে রেডরোডে জনতার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। পাশাপাশি ভিআইপি দর্শকের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা।
এক্ষেত্রে উল্লেখ করা প্রয়োজন, প্রতিবছর রেডরোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেন। দর্শদের প্রবেশের জন্য একাধিক গেট তৈরি করা হয়। পাশাপাশি গ্যালারিতে বসেও অনুষ্ঠান দেখার বন্দোবস্ত থাকে। এবার সেই আয়োজন ছিল সামান্যই। পুলিশের তরফে নিরাপত্তা বিশেষ আয়োজন ছিল, ছিল ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেই দর্শকদের বসতে হয়েছিল। পাশাপাশি ভিআইপিদের বসার জায়গাতেই নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা হয়েছিল।

নেতাজিকে শ্রদ্ধা কলকাতা পুলিশের
এদিন রেডরোডে কলকাতা পুলিশের ট্যাবলোর মাধ্যমে ১২৫ তন জন্ম বার্ষিকীতে নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। কলকাতা পুলিশের অশ্বারোহী বাহিনীর নেতৃত্বে থিলেন অভ্রকিশোর চট্টোপাধ্যায়। এবারের রেডরোডের কুচকাওয়াজে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত স্বাউডগার্ড জাসবাকেও রাখা হয়েছিল।
প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে আত্মনির্ভর ভারত অভিযান, দিল্লির রাজপথে ফুটে উঠল মোদীর স্বপ্ন