বিজেপির সঙ্গে যোগসাজস! জেলা সহ-সভাপতির পদ খোয়ালেন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা
বিজেপির (bjp) সঙ্গে যোগসাজসের অভিযোগ। তৃণমূলের (trinamool congress) নদিয়া জেলা- সহসভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হল পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়কে (parthacarathi chatterjee)। এব্যাপারে জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্রের লেখা চিঠি তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পার্থ সারথী চট্টোপাধ্যায় নিজেও চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

অপসারিত নদিয়া তৃণমূলের সহ সভাপতি
হঠাৎই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল নদিয়া জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁকে তৃণমূলের কোনও সভায় যোগ দিতেও বারণ করা হয়েছে। জেলা তৃণমূলে কোঅর্ডিনেটর দীপক বসু জানিয়েছএন, দীর্ঘদিন ধরেই ওই নেতা দলের সঙ্গে দূরত্ব রেখে চলছিলেন। বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হলেও তিনি শোনেননি। সূত্রের খবর অনুযায়ী দলীয় পদ থেকে অপসারণের পর তাঁকে রানাঘাটের পুরপ্রশাসকের পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।

তৃণমূলের আছি, বলেছেন পার্থসারথী
দলের সিদ্ধান্ত জানানোর পরেই পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূলেই আছেন। তিনি বলেছেন, তাঁকে যখন ওই পদে রাখা হয়েছিল, তাতে তিনি খুশি ছিলেন না। আর সরিয়ে দেওয়ার পরেও তিনি অখুশি নন। তাঁকে কেন ওই ধরনের পদে রাখা হয়েছিল, তা তিনি জানেন না। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, যাঁরা ওই ধরনের পদ পছন্দর করেন, তাঁদের জন্য ওই পদ ভাল। দলীয় চিঠিতে তাঁর বিরুদ্ধে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ প্রসঙ্গে পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি দলবিরোধী কাজ কোথায়, কবে করেছেন, তা তাঁর জানা নেই। তাঁকে শোকজ পর্যন্ত করা হয়নি বলেও দাবি করেছেন ওই নেতা। তাঁর সঙ্গে কোনও পর্যায়েই যোগাযোগ করা হয়নি। তবে দলের অনুষ্ঠানে যে যেতে তাঁকে বারণ করা হয়েছে, তা তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন।

ভেবে চিন্তেই সিদ্ধান্ত
এদিকে নদিয়া জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, ভেবে চিন্তেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা সভাপতি বুঝেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছে নদিয়া জেলা তৃণমূল। দলের শৃঙ্খলা রক্ষা করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি করা হয়েছে জেলা তৃণমূলের তরফে।

বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন পার্থসারথি
পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। দিন কয়েক আগে, রানাঘাট শহরের বিভিন্ন জায়গায় পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় ওরফে বাবু চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। সেখানে লেখা ছিল বিজেপি সমর্থনকারীরা বাবু চট্টোপাধ্যায়কে চান না। এব্যাপারে পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, এই নোংরা সংস্কৃতি নিয়ে তিনি কিছু বলতে চান না।
গণনার দিন ফসল ঘরে তুলবেন! নন্দীগ্রামে অমিত শাহ, জেপি নাড্ডাদের পদাঙ্ক অনুসরণ শুভেন্দুর