লালকেল্লায় 'অন্য পতাকা' উঠল কীভাবে! একনজরে দিল্লি তাণ্ডবের টাইমলাইন
সকাল সাড়ে নাগাদ সিংঘু সীমান্ত থেকে শুরু হয় উত্তেজনা। তারপরই ১৫ মিনিট কাটতে না কাটতেই দিল্লিতে টিকরি সীমান্তে ব্যারিকেড ভাঙতে শুরু করেন কৃষকরা। ঘড়ির কাঁটা ৯:৩০ মিনিটে পৌঁছতেই ট্র্যাক্টর ব়্যালি সঞ্জয় গান্ধী ট্র্রান্সপোর্চ নগরে পৌঁছয়। এরপর থেকে উত্তপ্ত হতে থাকে পরিস্থিতি।

ব্যারিকেড ভাঙা শুরু ও পাল্টা টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটানো
এদিকে বেলা ১১ টা থেকে কৃষকরা সঞ্জয় গান্ধী ট্রান্সপোর্ট নগরে কৃ।করা ভাঙতে যান ব্যারিকেড। পাল্টা টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটতে থাকে পুলিশের তরফে। মুকারবা চক উত্তপ্ত হয়। সাতটি বাসের কাচ ভাঙে কৃষকদের তরফে বিক্ষোভকারীরা।

পরিকল্পিত রুটের থেকে ইউ টার্ন!
দুপুর সাড়ে ১২ টার পর থেকে পরিকল্পিত রুট বদলে ইউটার্ন নিয়ে কৃষকরা অন্য রুট ধরেন। একটি ব়্যাল অক্ষরধাম পৌঁছয়। অপরটি আইটিও। শুরু হয় দুই পক্ষের ধুন্ধুমার লড়াই। নয়ডায় হাতে তলোয়ার নিয়ে নামেন কৃষকরা। প্রশ্ন ওঠে কীভাবে এই অস্ত্র কৃষকদের হাতে আসে তা নিয়ে।

শুরু হয় লালকেল্লার যাত্রা!
এরপর আইটিও থেকে গাড়ি নিয়ে সোজা লালকেল্লার দিকে যেতে থাকেন বিক্ষোভরত কৃষকরা। পুলিশি সমস্ত ব্যারিকেড ভাঙা হয়ে গিয়েছে ততক্ষণে। পুলিশ তখন অসহায় দর্শক।

লালকেল্লায় তেরঙার জায়গায় অন্য পতাকা!
দুপুর তখন ২ টো।এদিকে,যে লালকেল্লায় তেরঙা উত্তোলন দেখতেই গোটা দেশ অভ্যস্ত, সেই লালকেল্লায় এদিনের হিংসাত্মক বিক্ষোভের জেরে উঠল অন্য পাতাকা। ততক্ষণে গোটা দিল্লি জুড়ে তাণ্ডব শুরু হয়েছে কৃষকদের। ট্র্যাক্টর চাপা পড়ে,মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। আহত হয়েছেন বহু পুলিশ কর্মী। এরপর যদিও কৃষক সংগঠনের তরফে দাবি করা হয় যে এই বিক্ষোভে সমাজবিরোধীদের হাত রয়েছে কৃষকরা এমন করেননি। তাঁরা শান্তিপূর্ণ ব়্যালি চেয়েছিলেন।
দেশের লজ্জা, কৃষকদের 'দিল্লি দখল' ইস্যুতে কী বললেন বিরোধী দলের নেতারা?