নয়াদিল্লী : প্রবল শীতের কবলে উত্তর ভারত। সন্ধে এবং ভোরের দিকে তাপমাত্রা ব্যযপ ভাবে নেমে যাচ্ছে। আজ সকালেই ২ ডিগ্রিতে নেমেছে রাজধানী দিল্লির পারদ। পাশাপাশি উত্তর পূর্ব ভারতে ব্যাপক ভাবে জারি রয়েছে শীতের প্রকোপ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মিলিয়ে সোমবার থেকেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তর পূর্ব দিকে সরতে শুরু করে। যার প্রভাব পড়ছে সমতলভূমিতে। শীতল বাতাস যাচ্ছে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়ের দিকে। ফলে তাপমাত্রা হু হু করে নামতে শুরু করেছে। স্থান ভিত্তিকে উত্তর রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, পশ্চিম উত্তর প্রদেশ এবং পশ্চিম মধ্যপ্রদেশে প্রবল শৈত্য প্রবাহ চলতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শ্রীনগরে মাইনাস ২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, লখনউতে ৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জয়পুরে ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ইম্ফলে ৪.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ডিব্রুগড় ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ডাল্টনগঞ্জে ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জামশেদপুরে ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাঁচিতে ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ভাগলপুরে ১০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পূর্ণিয়ায় ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গয়ায় ৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রবিবার দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শ্রীনগরে মাইনাস ১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, লখনউতে ১০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জয়পুরে ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ইম্ফলে ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ডিব্রুগড় ১১.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ডাল্টনগঞ্জে ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জামশেদপুরে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাঁচিতে ১০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ভাগলপুরে ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পূর্ণিয়ায় ১১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গয়ায় ১০.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শ্রীনগরে মাইনাস ৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, লেংপুইতে ৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, লখনউতে ৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জয়পুরে ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ইম্ফলে ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চেরাপুঞ্জিতে ৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ডাল্টনগঞ্জে ৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জামশেদপুরে ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাঁচিতে ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দ্বারভাঙ্গায় ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দেহরিতে ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গয়ায় ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ ঝঞ্ঝার জেরে সর্বত্রই তাপমাত্রা বেড়েছে তা স্পষ্ট এই তথ্যেই।
এদিকে শীতের ধারা অব্যাহত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। মঙ্গলবার দার্জিলিংয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কালিম্পঙে ৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কোচবিহারে ১১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শিলিগুড়িতে ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জলপাইগুড়িতে ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মালদহে ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে যেমন আর পারদ নামেনি তেমন ব্যাপক পরিমানে যে তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে এমনটাও নয়। মঙ্গলবার মোটামুটি শীতের আমেজ ভালো মতো অবস্থান করছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও পশ্চিমের জেলাগুলিতে। হাওয়া অফিসের তথ্য জানাচ্ছে, মঙ্গলবার আসানসোলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাঁকুড়ায় ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বর্ধমান ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ক্যানিং ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কাঁথি ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মেদিনীপুর ১৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পুরুলিয়ায় ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শ্রীনিকেতনে ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। সোমবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। অর্থাৎ খুবই অল্প, তবু ফের পারদ নেমেছে শহরে। কারণ হাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.