চেন্নাই: শনিবার ভারতের উদ্দেশ্যে বিমান ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। সঙ্গে ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘সি ইউ সুন ইন্ডিয়া।’ অর্থাৎ, শীঘ্রই ভারতে অবতরণ করছেন তিনি, প্রচ্ছন্ন হুমকির সুরে এমনই এক বার্তা রেখেছিলেন ইংল্যান্ডের নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। রবিবার এদেশে পৌঁছে চেন্নাইয়ের হোটেলে নিভৃতবাসে প্রবেশ করেছেন তিনি। সোমবার হোটেলে বন্দি থেকেই হয়তো টেলিভিশনে শ্রীলঙ্কার মাটিতে সতীর্থদের সিরিজ জয়ের সাক্ষী থেকেছেন।

একইসঙ্গে চেন্নাইয়ের হোটেলে তাঁর নিভৃতবাসের টুকরো কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের জ্ঞাতার্থে পোস্ট করেছেন ইংল্যান্ডের বিশ্বজয়ের নায়ক। সোমবার তাঁর ইনস্টাগ্রামে একাধিক স্টোরি পোস্ট করে অনুরাগীদের আগামী পাঁচদিনের কোয়ারেন্টাইন সূচি সম্পর্কে অবগত করেন স্টোকস। স্টোকস লেখেন, ‘সেরকম কোনও ঝুট-ঝামেলা ছাড়াই প্রথম দিনের কোয়ারেন্টাইন কাটালাম। বিছানায় শুয়ে বসেই কাটবে আগামী কয়েকটাদিন। বিষয়টা যে খুব পছন্দের তা নয়। কিন্তু পাঁচটাদিন এছাড়া আর কোনও উপায় নেই।’

আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চেন্নাইয়ে শুরু হচ্ছে ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট। দ্বীপরাষ্ট্রে ইংল্যান্ড স্কোয়াডে ছিলেন না এই অলরাউন্ডার। লম্বা বিশ্রাম সেরে স্টোকসকে ভারত সফরে ফের স্বমহিমায় দেখতে চাইবেন ইংরেজ অনুরাগীরা। কারণ সদ্য অস্ট্রেলিয়াকে তাদের মাটিতে টেস্ট সিরিজে হারিয়ে ফেরা ভারতীয় দলকে তাদের মাটিতে হারানোর জন্য যে স্টোকসের মত নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটারদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে, সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

যদিও শ্রীলঙ্কার মাটিতে ২৯ বছর বয়সী অলরাউন্ডারকে ছাড়া সিরিজ জিততে বেগ পেতে হয়নি রুটের ইংল্যান্ডকে। দ্বিতীয় টেস্টে সোমবার শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে তাদের হোয়াইটওয়াশ করেছে ইংল্যান্ড। কিন্তু ধারেভারে টিম ইন্ডিয়া যে শ্রীলঙ্কার চেয়ে যোজন এগিয়ে সেকথা অজানা নয় রুট-স্টোকসদের।

অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জয়ের পর আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে টিম ইন্ডিয়া। সেখানে ইংল্যান্ডের স্থান চতুর্থ। তাই চলতি বছর ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা পাকা করতে ভারত সফরকেই পাখির চোখ করছেন রুটরা। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে রুটরাও আত্মবিশ্বাসী হয়েই পা দিচ্ছেন ভারতে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি নিভৃতবাস কাটিয়ে প্রথম অনুশীলনে নামবে ইংল্যান্ড দল।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।