নয়াদিল্লি : শক্তি বৃদ্ধি ভারতীয় বায়ুসেনার। ডিআরডিও-র হাত ধরে সোমবার সফল উৎক্ষেপণ হল নিউ জেনারেশন আকাশ মিসাইলের। ভূমি থেকে আকাশ রেঞ্জের এই মিসাইল আকাশ পথে যে কোনও শত্রুপক্ষের হুমকিকে প্রতিহত করতে সক্ষম। এক বিবৃতি প্রকাশ করে ডিআরডিও জানিয়েছে ওডিশার উপকূলে ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে সফল উৎক্ষেপণ করা হয়েছে আকাশ মিসাইলের।
ফাইটার জেট, ক্রুজ মিসাইল, এয়ার টু সারফেস মিসাইল কিংবা ব্যালিস্টিক মিসাইলকে মুহূর্তে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে এই আকাশ মিসাইল। ২৫ কিলোমিটার রেঞ্জের আকাশ যে কোনও আবহাওয়ায় একাধিক টার্গেটে পৌঁছতে পারে৷ তবে সেনার পক্ষ থেকে এই আকাশ রেজিমেন্টের সংখ্যা আরও বাড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ ১৯৮৪ সালে ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে আকাশ নির্মাণের দায়িত্ব নেয় ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন বা ডিআরডিও৷
সেনাবাহিনীর কাছে বর্তমানে দুটি আকাশ মিসাইলের রেজিমেন্ট রয়েছে৷ গত বছর প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, অতিরিক্ত SR SAM-এর জন্য ডাকা গ্লোবাল টেন্ডার বাতিল করে দেয়৷ এবং আরও দুটি রেজিমেন্ট কেনার অনুমোদন দেয়৷ প্রতিটি রেজিমেন্টে ছ’টি লঞ্চার রয়েছে৷ আবার প্রতিটি লঞ্চারে রয়েছে তিনটি করে মিসাইল৷ AAD ক্রু-এর মাধ্যমে হওয়া প্রথম ট্রায়াল-ও সফল হয় বলে জানা গিয়েছে৷
এর আগে জানা গিয়েছিল দেশের মাটিতে তৈরি হয়েছে আকাশ মিসাইল। এবার সেই মিসাইল কিনবে অন্যান্য দেশ। সৌদি আরবের পর পৃথিবীর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বিদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানি করার তালিকায় এতদিন পর্যন্ত নাম ছিল ভারতের। কিন্তু এই বিদেশ নির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে তত্পর হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
দ্রুত নিয়ম বদলের চেষ্টা করা হচ্ছে ইতিমধ্যেই। আগেই ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি চতুর্থ জেনারেশনের ফাইটার জেট তেজস এবং তার নতুন সংস্করণ উত্পাদনের জন্য কাজ চালাচ্ছে ভারত। এই জেট রফতানি করাই লক্ষ্য। এবার আরও এক ধাপ এগোল ভারত। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আকাশ মিসাইল সিস্টেম রফতানি করার ব্যাপারে আর কোনও সমস্যা রইল না।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশকে ‘আত্মনির্ভর’ এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পকে জোরদার করার উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.