ইসলামাবাদ : করোনা নিয়ে চীনের ওপর বিশ্বাস রাখতে নারাজ পাকিস্তান। দেশের মানুষের জন্য দায়ী রাশিয়া থেকে টিকা আনাচ্ছে ইমরান খানের প্রশাসন। শোনা গিয়েছে রাশিয়ার ‘Sputnik V’ টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়ার কথা ভাবছেন ইমরান খান।
সম্প্রতি একথা জানিয়েছেন ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটি অফ পাকিস্তানের মুখপাত্র আখতার আব্বাস খান। তিনি বলেছেন, টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা রাশিয়ার Sputnik V-কে এগিয়ে রাখছে। তবে এখনই এই টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়ার হচ্ছে না। তার আগে প্রশাসনিক স্তরের কিছু কাজকর্ম রয়েছে। সেগুলো করার পরেই মিলবে সবুজ সংকেত। সূত্রের খবর, চিনের ‘করোনাভ্যাক’ ভ্যাকসিন নিয়ে পাকিস্তানের মন্ত্রিসভার মধ্যেই বিতর্ক রয়েছে। অনেকেই টিকার নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাছাড়া চিনও টিকাটির ট্রায়াল সংক্রান্ত কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি। তাই ভ্যাকসিন নিয়ে বেজিংয়ের উপর ভরসা রাখতে পারছে না ইসলামাবাদ।
তবে টিকা কেনার জন্য পাকিস্তান এখনও কোনও বরাত দেয়নি। ইমরান খানের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ফয়জল খান একথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চিনা সরকারি সংস্থা সিনোফার্মের থেকে করোনা টিকা কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে ইসলামাবাদে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে করাচিতে টিকাটির প্রথম দফার ট্রায়াল শেষ হওয়ার ওপর। হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইমরান প্রশাসন।
এদিকে ভারতে মডার্নার ভ্যাকসিন পরীক্ষার্থীর ক্লিনিকাল ট্রায়াল সম্পাদনের জন্য টাটা মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকস ভারতের বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিলের সঙ্গেও কথা বলেছে। একটি রিপোর্টে এই খবর প্রকাশ পেয়েছে। মডার্না অবশ্য তার ব্যবসায়িক ক্ষেত্র নিয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি। বাইরের কোনও কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসার খাতিরে গাঁটছড়া বাঁধা হয়েছে কিনা তাও বলেনি। অন্যদিকে টাটা মেডিক্যাল ও ডায়াগনস্টিকসও এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
মডার্নার সমীক্ষা থেকে নভেম্বর মাসে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী দেখা গেছে যে এর তেমন কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। কোনও অতিরিক্ত সুরক্ষা ও উদ্বেগ ছাড়াই এটি ৯৪.১% কার্যকর। এই ভ্যাকসিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডিসেম্বর মাসেই কার্যকরী হয়েছে এবং এই মাসের গোড়ার দিকে ইউরোপেও এটি ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হয়েছে। ভারত জানিয়েছে কোনও ভ্যাকসিন যদি এ দেশে ছাড়পত্র পেতে চায় তবে স্থানীয় সমীক্ষা করতে হবে। যদি দেশটিকে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা কর্মসূচী বলে বিবেচনা করতে হয় তবে এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতেই হবে। এই দেশে ভারত বায়োটেক এবং রাষ্ট্র পরিচালিত ইন্ডিয়ান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পেয়েছে। এছাড়া অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃক সেরাম ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রযোজিত অন্য একটি লাইসেন্সকৃত ভ্যাকসিনকে জরুরী ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.