প্রধান শত্রু বিজেপি! ভিক্টোরিয়ায় 'জয় শ্রীরাম' কাণ্ডে মমতার পাশে থেকে বার্তা বুদ্ধিজীবীদের একাংশের
ভিক্টোরিয়ায় জয় শ্রীরাম কাণ্ডে ধর্মতলায় বুদ্ধিজীবীদের প্রতিবাদ সভা। সেই সভা থেকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে বড় শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করলেন রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। এদিন ধর্মাতলায় প্রতিবাদ সভায় হাজির ছিলেন কৌশিক সেন, গৌতম ঘোষ, সায়নী ঘোষের মতো অনেকেই।

ভিক্টোরিয়ায় জয় শ্রীরাম স্লোগান
শনিবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীতে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সংস্কৃতি মন্ত্রকের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল সহ অনেকেই। সেদিন যেই ভাষণ দিতে উঠেছেন, দেওয়া হয়েছে জয় শ্রীরাম স্লোগান। বক্ত হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণার পরেই সেই স্লোগান ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিবাদ করেন। বলেন, তিনি এর প্রতিবাদ স্বরূপ সেখানে কোনও ভাষণ দেবেন না। সরকারি অনুষ্ঠানে ডিগনিটি থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অনুষ্ঠানটি কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয় বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি এই স্লোগানের প্রতিবাদ করেছিল বাম, কংগ্রেসও। পাশাপাশি বামেদের তরফ থেকে বলা হয়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আগেই সরকারি অনুষ্ঠানকে দলীয় অনুষ্ঠানে পরিণত করেছেন।

প্রথম প্রতিবাদ কবীর সুমনের
এব্যাপারে বুদ্ধিজীবীদের তরফে প্রথম প্রতিবাদ করেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কবীর সুমন। তিনি বিষয়টি নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেন। লেখেন, সাবাশ মমতা, জয় শ্রীরাম নয়, এই বাংলায় কখনও নয়। জয় বাংলা, জয় মমতা, জয় বাংলা, জয় মমতা। এর পাশাপাশি তিনি গড়িয়াহাট মোড়ে প্ল্যাকার্ড নিয়েও দাঁড়িয়ে পড়েন। এই প্রতিবাদকে সাধারণ নাগরিক হিসেবে সত্যাগ্রহ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি।

ধর্মতলায় প্রতিবাদ সভা বুদ্ধিজীবীদের একাংশের
এদিন দুপুরে এরই প্রতিবাদে ধর্মতলায় প্রতিবাদ সভা করেন বাংলার বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। এই প্রতিবাদ সভায় হাজির ছিলেন কৌশিক সেন, শুভাপ্রসন্ন, গৌতম ঘোষের মতো শিল্পী, চিত্রকর, পরিচালকরা। ছিলেন সায়নী ঘোষও। এদিনের সভায় কৌশিক সেন বলেন, এই মুহুর্তে প্রধান শত্রু হল বিজেপি। বিষয়টি তিনি বামপন্থীদেরও বলেছেন বলে জানিয়েছেন। দিল্লির অদূরে সিঙ্ঘুতে কৃষকদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে, সেই আন্দোলন সংগঠিত করতে কৃষকসভার নেতা হান্নার মোল্লার পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি বলেন, তৃণমূলের অন্তত ১০০ দোষ তিনি জানেন। তা নিয়ে তিনি টানা বলে যেতে পারবেন। কিন্তু এটা সেই বলার সময় নয়। তৃণমূলের সঙ্গে তিনি সমস্যা পরে মিটিয়ে নেবেন বলেও জানান। নিজের বক্তব্য জানাতে উঠে শুভাপ্রসন্ন বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ এমন কী শ্যামাপ্রসাদকেও ওরা চেনে না। শুধুমাত্রা ভোটের প্রচারে ব্যবহার করে। তিনি আরও বলেন শনিবারের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেও তিনি সেখানে যাননি।

নো ভোট ফর বিজেপি
২০১১-র আগে এই বুদ্ধিজীবীরাই সিপিএম-এর বিরুদ্ধে প্রচার করেছিলেন, বলেছিলেন নো ভোট ফর সিপিএম। এবার তাঁরাই প্রচার শুরু করেছেন নো ভোট ফর বিজেপি। এদিনেরক বিক্ষোভ সভায় বিজেপি দেশের পক্ষে বিপজ্জনক বলে দাবি করেছেন বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। বিজেপির কর্মকাণ্ডকে ভয়াবহ, ভয়ানক বলেও মন্তব্য করেছেন তাঁরা।
মুকুলের সঙ্গে দেখা হল কথাও হল মমতার! কিন্তু শুভেন্দুর সঙ্গে নয়, জল্পনা তুঙ্গে