নয়াদিল্লি: গত সপ্তাহে সিকিমের নাকু-লায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ভারত-চিনের। এক সপ্তাহ পরে সেনাদের তরফের সংঘর্ষের কথা প্রকাশ করা হয়। অথচ প্রধানমন্ত্রী কিন্তু সংঘর্ষ নিয়ে একটিবারের জন্য মুখ খোলেননি। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আজকে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি ও নেতা রাহুল গান্ধী।

এদিন চাঁচাছোলা ভাষায় রাহুল গান্ধী বলেন, “চিন ভারতে জমি দখল করছে বারবার। অথচ প্রধানমন্ত্রী গত এক মাসে একবার চিনের কথা বলেননি।” এদিন তিনি এও বলেন দেশের অর্থনীতি নিম্নমুখী হওয়ার পেছনে কাজ করছে প্রধানমন্ত্রীর প্রচলন করা নীতি। তার কারণেই চিন ভারতের দিকে আগ্রাসী পদক্ষেপ নেওয়ার সাহস পাচ্ছে। টুইটারে তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর কোটিপতি বন্ধুদের সাহায্য করতে গিয়ে দেশের কৃষক ও শ্রমিকদের ক্ষতি করছেন। ফলে ভারত ফোঁপরা হয়ে যাচ্ছে। তিনি একটি জনসভায় আরো বলেন, ভারতের অর্থনীতি শক্তিশালী থাকলে চিন আগ্রাসী হতে পারত না। চিনে তখন ভারতীয় গাড়ি চলত। এমনকি চিনারা ভারতীয় বিমানে চলাফেরা করতেন। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। মোদী সরকার কৃষক-শ্রমিকদের বদলে ভারতীয় সেনাকে ব্যবহার করছে। যদি দেশের কৃষক-শ্রমিকরা শক্তিশালী হতেন তবে চিনের বিরুদ্ধে সেনার প্রয়োজন পড়ত না। কারণ ভারতের প্রবেশ করতেই ভয় পেত চিন।

প্রসঙ্গত, ২০ জানুয়ারিতে সিকিমের নাকু লা-তে ভারতীয় সেনা এবং চিনা পিএলএ সেনার মধ্যে মুখোমুখি যে লড়াই হয়েছিল তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। প্রোটোকল অনুসারে স্থানীয় কমান্ডারই এই সমস্যার সমাধান করেন।” বিবৃতিতে এও বলা হয় যে পিএলএ-র অনুপ্রবেশের চেষ্টার পরে গত সপ্তাহে এই সংঘর্ষ হয়। তবে সতর্ক ভারতীয় সেনা চিনের সেই চেষ্টা বানচাল করে দেয়। পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে এই ঘটনা ঘটে।

গত ৯ মাস ধরে উত্তপ্ত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা৷ চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় সেনা৷ এই অবস্থায় রবিবার নবম দফা বৈঠকে বসে ভারতীয় সেনা ও লাল ফৌজ৷ বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-য় ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট)-র দাবি জানায় ভারত৷ পাশাপাশি ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন)-র দাবিও তোলা হয়েছে ভারতীয় সেনার তরফে। রবিবার পূর্ব লাদাখের মলডোতে বসেছিল এই বৈঠক৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।