নয়াদিল্লি: রাজধানীর রাজনৈতিক আকাশে কৃষক বিক্ষোভের মেঘ আরও জমাট। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এবার সংসদ ভবন পর্যন্ত মিছিল ও ঘেরাও অভিযানের ডাক দিল বিক্ষোভকারী কৃষক সংগঠনগুলি। মঙ্গলবার সাধারণতন্ত্র দিবসের লক্ষাধিক ট্রাকটর মিছিল নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তৈরি হয়েছে কৌতুহল।

বিশ্বের বৃহত্তম কৃষক বিক্ষোভের দিন হিসেবে সাধারণতন্ত্র দিবসটি দেখছে আন্তর্জাতিক মহল। সারা ভারত কৃষকসভা, ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন সহ ৫০০টি কৃষক সংগঠন এবার কৃষি আইন তুলে নেওয়ার জন্য সরকারের উপর আরও চাপ দিতে মরিয়া।

ক্রান্তিকারী কিষান ইউনিয়নের নেতা দর্শন পাল সিংয়ের হুঁশিয়ারি, সরকারকে আইন বাতিল করতেই হবে। না হলে সংসদ ভবনের দিকে অভিযান শুরু হবে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই অভিযান দিল্লির চারদিক থেকে ঢুকতে শুরু করবে।

এদিকে মঙ্গলবার কৃষক ট্রাকটর মিছিলে অংশ নিতে ইতিমধ্যে এক লক্ষ ট্রাকটর হাজির হয়েছে দিল্লির উপকণ্ঠে। প্রথামাফিক সেনা কুচকাওয়াজের পাশাপাশি দিল্লির চারদিকে আউটার রিং রোড ঘিরে হবে নজিরবিহীন ট্রাকটর মিছিল। ফলে সরকার প্রবল অস্বস্তিতে।

দিল্লি পুলিশের অনুমতি নিয়েই এই ট্রাকটর মিছিল হবে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারী কৃষক নেতৃত্ব। সারা ভারত কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদ হান্নান মোল্লার হুঁশিয়ারি, সরকারকে কৃষি আইন বাতিল করতেই হবে। কোনও সমঝোতার রাস্তা নেই।

২৬ জানুয়ারি দিল্লির পাশাপাশি, দেশের অন্যত্র হবে কৃষক মিছিল ও ট্রাকটর মিছিল। ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রে শুরু হয়েছে কৃষক অবস্থান। নাসিক থেকে মুম্বই পর্যন্ত কৃষকদের বিরাট মিছিল পৌঁছে গিয়েছে। কৃষক সভার আহ্বানে এই মিছিল মুম্বইতে বিক্ষোভ দেখাবে।

কৃষক নেতাদের দাবি, বাণিজ্যিক রাজধানীতে বিক্ষোভের রেশ ছড়াবে বিশ্ব জুড়ে। অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাডু, কেরল সহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রবল কৃষক বিক্ষোভ হয়।

একইভাবে গত ৬১ দিন ধরে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান থেকে আসা লক্ষ লক্ষ কৃষক কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লির উপকণ্ঠে ঘেরাও করে আছেন। আন্দোলনে পরপর কৃষকদের মৃত্যু হচ্ছে। সারা ভারত কৃষক সংঘর্ষ সমিতির যৌথ মঞ্চের কৃষক নেতাদের দাবি, আইন বাতিল না করে তারা ফিরবেন না। আন্দোলন আরও চালিয়ে যাওয়া হবে বলেই জানানো হয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।