পঞ্চায়েতে দলীয় প্রার্থীর হার নিয়ে কল্যাণের ঝাঁঝালো টার্গেটে রাজীব! ফের বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বেসুরো হতে শুরু করার পর থেকেই তাঁকে বহুদিন আগেই টার্গেটে নেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। জানুয়ারির মাঝামাঝি রাজীবকে নিয়ে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তোলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এরপর রাজীব পদত্যাগ করার পর হাওড়ার নেতাকে 'গদ্দার' বলে আক্রমণ করেই কল্যাণ একের পর এক অভিযোগ শানিয়েছেন।

কল্যাণের বিস্ফোরক বার্তা
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে গদ্দার বলে কটাক্ষ করা ছাড়াও গতকাল এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গ তোলেন ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের। তাঁর দাবি, সেই সময় ডোমজুরের প্রার্থীকে পছন্দ হয়নি রাজীবের। আর সেই কারণে নিজের দফতরের ঠিকাদারের সাহায্য়ে তাঁকে হারান বলে বিস্ফোরক বক্তব্য পেশ করেন কল্যাণ। এমনই দাবি এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।

'রাজীবের মুখ মুখোশ আলাদা' তোপ আরও এক কল্যাণের
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের ঠিক আগে হাওড়া জেলা পরিষদের মেন্টর কল্যাণ ঘোষ বলেছিলেন, 'বনমন্ত্রীর মুখ আর মুখোশ আলাদা'। সেই সময় তাঁর বক্তব্যে দাবি ছিল, ডোমজুর বিধানসভা থেকে জিতে সেচ মন্ত্রী হওয়ার পর রাজীব শুধু নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতেই ব্যস্ত ছিলেন। কল্যাণ ঘোষও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুর ধরে বলেছিলে, বহু তৃণমূল কর্মীকে দলের মধ্যে কোণঠাসা করতে উদ্যত হন রাজীব। বিস্ফোরক অভিযোগে কল্যাণ ঘোষ দাবি করেন, নিজের পরিবারের কর্মীদের পাকা চাকরি দিয়েছেন রাজীব।

অন্তর্ঘাত নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
এদিকে, এর আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে ডোমজুর ইস্যুতে বহুবারই মুখ খোলেন কল্যাণ। প্রসঙ্গত, এর আগে রাজীব দাবি করেন, দলের কর্মীদের যোগ্য সম্মান দেওয়া হয় না। আর সেই প্রসঙ্গে কল্যাণ পাল্টা তোপে বলেন, 'উনি নিজে তা দিতে পারেন তো?' আর সেই সূত্র ধরেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও দাবি করেছিলেন, যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ডোমজুরের তৃণমূল প্রার্থীকে পছন্দ করেননি। এমনকি তাতার জন্য ওই প্রার্থীকে হারিয়েছেন রাজীবই, বলে অভিযোগ তোলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

রাজীব বৈশালী প্রসঙ্গে কল্যাণ
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বৈশালী ডালমিয়ার সঙ্গে বিজেপির কথা হয়েছে বলে বিজেপির নেতা সায়ন্তন বসুর বক্তব্য সম্পর্কে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এ আর নতুন কী! চার মাস ধরেই খবর পাচ্ছি। বিজেপি ডাকছে, ওঁরা বলছেন আসছি। স্টেপ বাই স্টেপ আসছি। একবার রেজিগনেশন হল, তারপর আবার পদত্যাগপত্র হবে। একবারে সব রেজিগনেশন দিয়ে দিলে খবর হবে কী করে?'