শ্রীনগর: ফের মানবিকতার নজির গড়ল ভারতীয় সেনা। জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারাতে তীব্র তুষারপাত উপেক্ষা করে এক মহিলা ও তাঁর সদ্যোজাত সন্তানকে বাড়ি পৌঁছে দিলেন। প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা স্ট্রেচারে ওই মহিলাকে বয়ে নিয়ে যান জওয়ানরা।
শনিবার কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি জায়গায় নতুন করে তুষারপাত হয়েছে। কাশ্মীর এখন ঠান্ডায় কাঁপছে। শ্রীনগর সহ কাশ্মীরের অনেক অংশে এ মাসে তৃতীয়বার তুষারপাত হল। প্রবল তুষারপাতের কারণে বিমান ও সড়ক পথ বন্ধ। শনিবার সকালে শ্রীনগর বিমান বন্দর থেকে কোনও বিমান চলাচল করেনি। প্রভাব পড়েছিল সড়কপথেও। প্রবল তুষারপাতের পরে জওহর টানেলের দু’পাশে ২৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত যানবাহন চলাচল স্থগিত করতে হয়। ফলে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে।
#WATCH | Indian Army personnel today carried a woman, who was stuck at a hospital with her newborn child due to heavy snowfall, on a stretcher for almost 6-km to take her to her home in Kupwara, Jammu & Kashmir. pic.twitter.com/Njng8jHYb5
— ANI (@ANI) January 23, 2021
একে প্রবল তুষারপাত, তার উপর তীব্র জানজট, সব মিলিয়ে হাসপাতালেই আটতে পড়েছিল নবজাতক ও তার মা। এই সময় পরিত্রাতার ভূমিকায় উত্তীর্ণ হন ভারতীয় জওয়ানরা। প্রায় হাঁটু সমান বরফ পেরিয়ে ওই মহিলা ও সন্তানকে বাড়ি পৌঁছে দেন তাঁরা। জওয়ানদের এই ভিডিও সম্প্রতি প্রকাশ পায় নেটদুনিয়ায়। তারপর থেকেই ভিডিও ভাইরাল। অনেকেই জওয়ানদের কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।
শনিবার নতুন করে বরফ পড়ে জম্মু কাশ্মীরে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন বেশ কয়েক বছর পর এভাবে তুষারাপাত হল কাশ্মীরে। পুঞ্চের মান্ডি এলাকায় সবচেয়ে বেশি বরফ পড়েছে এই বছর। এক রাতের মধ্যে কমপক্ষে ছয় ইঞ্চি পুরু বরফের পরত পড়েছে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা এবার হয়ত বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে গোটা কাশ্মীর। দেখা দিতে পারে খাবারের অভাবও।
পুরোপুরি বরফে ঢেকে গিয়েছে বিখ্যাত ডাল লেক। শুধু ডাল লেকই নয়, কাশ্মীরের প্রতিটি জলাশয়ই বরফে মোড়া। জম্মুতে কাটরা টাউনে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাটোটে মাইনাস ১.২ ডিগ্রি, বানিহালে মাইনাস ২.৬ ডিগ্রি ও বাদেরওয়াতে মাইনাস ৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। উপত্যকার ৪০ দিন ধরে চলা চিল্লাই কালান শুরু হয়েছে ২১ ডিসেম্বর থেকে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই মরশুম। চিল্লাই কালান চলাকালীনই সর্বাধিক বরফপাতের খবর মেলে কাশ্মীর থেকে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.