কলকাতা: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে সরকারি অনুষ্ঠানে জয় শ্রী রাম স্লোগান নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে শাসক দল৷ কোথাও প্রতিবাদ মিছিল, কোথাও রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা৷

স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকালে বীরভূমের দুবরাজপুরে বাইকে মিছিল করে তৃণমূলের কর্মী- সমর্থকরা৷ তাছাড়া বৈদ্যবাটি-শেওড়াফুলি নাগরিক সমিতির ব্যানারে একটা প্রতিবাদ মিছিল হয়৷

পাশপাশি এদিন দুর্গাপুরের ডিভিসি মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা৷ যার নেতৃত্ব দিয়েছেন,দুর্গাপুর নগর নিগমের তেইশ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবব্রত সাঁই।

এছাড়া ভিক্টোরিয়ার ঘটনায় আজ কুলতলির জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্য বলেন,নেতাজিকে যারা অপমান করলেন তাঁদের জবাব দেবেন না? সভায় বক্তব্য রাখার সময় পরিবেশ নষ্ঠ করেছে ওরা। নেতাজি, মনীষীদের অপমান করলে, তিনি চুপ করে বসে থাকবেন না। সেটা আমাদের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সামনে বুঝিয়ে দিয়ে এসেছেন।

ভিক্টোরিয়ার ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, সরকারি জায়গাটাকে কীভাবে রাজনীতিকরণ করা হল এটা তারই দৃষ্টান্ত। সরকারি অনুষ্ঠানে এভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান মেনে নেবে না তৃণমূল৷ আমরাইঞ্চিতে ইঞ্চিতে এই অপমানের শোধ নেব৷

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিবস উপলক্ষে ‘‌পরাক্রম দিবস’‌–এর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনেই সৃষ্টি হল এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ সবে বক্তব্য শেষ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল। এর পরের বক্তা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে নেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক।

তিনি মঞ্চের চেয়ার ছেড়ে পোডিয়ামের দিকে এগোতেই সামনের সমবেত জনতার একাংশ ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে শুরু করে। যা শুনে দৃশ্যতই বিরক্ত হন মমতা।

ফলে খানিক বিব্রত ঘোষক বলেন, ‘‘আপনারা একটু শান্ত হোন। ওঁকে (মমতাকে) কিছু বলতে দিন।’’ কিন্তু তত ক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ক্ষুব্ধ মমতা পোডিয়ামের সামনে দাঁড়িয়ে প্রথমেই হিন্দিতে বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, সরকারি অনুষ্ঠানের একটা শালীনতা থাকা উচিত। এটা কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নয়। এটা সমস্ত দলেরই কর্মসূচি। জনতার কর্মসূচি।’’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।