পানাজি: বেঙ্গালুরু এফসি’র দৈন্যদশা চলছেই। কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতকে সরিয়ে দেওয়ার পরেও উন্নতির নামগন্ধ তো নেই, বরং সুনীল ছেত্রীর দলের অবস্থা যেন দিনকে দিন খারাপ হচ্ছে। রবিবাসররীয় আইএসএলের ডাবল হেডারের দ্বিতীয় ম্যাচে লিগ টেবিলের একেবারে শেষে থাকা ওডিশা এফসি’র বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল ব্লুজ’রা। এই ওডিশার বিরুদ্ধেই ডিসেম্বরের মাঝামাঝি শেষ জয়টা পেয়েছিল ২০১৮-১৯ চ্যাম্পিয়নরা। তাই ফের ওডিশাকে হারিয়েই এদিন জয়ের সরণিতে ফিরতে চেয়েছিলেন সুনীলরা।

কিন্তু ‘লাস্ট বয়’দের কাছেও আটকে গেলেন সুনীলরা। বলা ভালো ৮২ মিনিটে এরিক পারতালুর গোলে হার বাঁচাল বেঙ্গালুরু এফসি। দু’দল পয়েন্ট ভাগ করে নিলেও গুণগত মান বিচার করলে রবিবারের এই ম্যাচ চলতি আইএসএলের অন্যতম উপভোগ্য ম্যাচ হয়ে রইল। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে দম ফেলার ফুরসৎ ছিল না দু’দলের রক্ষণের। নিজেদের দক্ষতাকে শীর্ষে নিয়ে গিয়ে তেকাঠির নীচে ডুয়েলে মাতলেন দু’দলের গোলরক্ষক গুরপ্রীত এবং অর্শদীপ।

তবে এদিন ম্যাচের একেবারে শুরুতেই দিয়েগো মৌরিসিওর গোলে এগিয়ে যায় ওডিশা। আট মিনিটে মাইকেল ওনয়ু’র দুরন্ত মাটি ঘেঁষা ক্রস থেকে আলতো টোকায় বল জালে জড়িয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। আক্রমণের শুরুটা হয়েছিল জেরির ফ্রি-কিক ধরে। যদিও সেই গোল ম্যাচের গতির বিরুদ্ধেই বলা যায়। প্রথমার্ধে সমতা ফেরানোর ক্লিয়ার-কাট কোনও সুযোগ সেই অর্থে না পেলেও দু’টি ক্ষেত্রে বেঙ্গালুরু আর গোলের মাঝে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ান অর্শদীপ। একটি ক্ষেত্রে পারতালুর শট ও অন্য একটি ক্ষেত্রে কর্নার থেকে রাহুল ভেকের হেড অর্শদীপের দস্তনায় আটকে যায়।

প্রথমার্ধ যেখানে শেষ করেছিলেন, দ্বিতীয়ার্ধে সেখান থেকেই শুরু করেন অর্শদীপ। প্রথমে ক্রিস্টিয়ান ওপসেথের ফ্রি-কিক এবং পরে ক্লোজ-রেঞ্জ থেকে গৌরব বোরার হেড নিজ গোলে ঢোকার মুখ থেকে বাঁচান তরুণ গোলরক্ষক। একটি ক্ষেত্রে রাহুল ভেকের থ্রো-ইন অর্শদীপ কব্জা করতে ব্যর্থ হলে সুযোগ চলে আসে ওপসেথের কাছে, কিন্তু গোলের সামনে দাঁড়িয়ে পায়ে বলে সংযোগ করতে পারেননি নরওয়ের স্ট্রাইকার। প্রতি-আক্রমণে বারদু’য়েক দ্বিতীয়বারের জন্য গোলমুখ খুলে ফেলেছিল ওডিশা। কিন্তু গুরপ্রীত এবং বেঙ্গালুরু রক্ষণ তৎপর থাকায় ব্যবধান বাড়েনি।

শেষ অবধি ৮২ মিনিটে বেঙ্গালুরু আক্রমণের সামনে মাথা নোয়ায় ওডিশা রক্ষণ। ক্লেইটন সিলভার কর্নার থেকে হেডে নিশানায় স্থির থাকেন পারতালু। ৮৫ মিনিটে ম্যাচ জয়ের সুবর্ণ সুযোগটি হাতছাড়া করেন সুনীল ছেত্রী। একা গোলরক্ষককে পরাস্ত করার মত জায়গায় দাঁড়িয়ে বল ক্রসবারের কয়েকহাত উপর দিয়ে বাইরে পাঠান ভারতীয় ফুটবলের ‘পোস্টার বয়’। ফলে সাত ম্যাচ পরেও জয়ে ফেরা হয় না বেঙ্গালুরুর। লিগ টেবিলে সাতে থাকা বেঙ্গালুরুর পয়েন্ট সংখ্যা ১৪। সমসংখ্যক ম্যাচে ওডিশার সংগ্রহে মাত্র ৮।

দিনের অন্য খেলায় গোলশূন্য ম্যাচে পয়েন্ট ভাগ করে নিয়েছে জামশেদপুর এবং হায়দরাবাদ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।