বাংলায় শিল্পীমহলের সঙ্গে সাক্ষাতে মোদী দিলেন ইঙ্গিতবহ বার্তা! ভোটের আগে কোন অঙ্কে জল্পনা
বাংলায় কার্যত ভোট প্রচারের থেকেও একুশের ভোটের আগে প্রাসঙ্গিক হচ্ছে দলবদলের ট্রেন্ড। ভোটের অ্যাজেন্ডা থেকে নানাবিধি ইস্যু, মানুষের চাওয়া-পাওয়া ছাপিয়ে আপাতত বাংলার রাজনীতিতে ঝড় তুলেছে দলবদল ইস্যু। এমন এক পরস্থিতিতে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মদিবসে রীতিমতো তোলপাড় বাংলার রাজনীতি। এমন এক পরিস্থিতিতে বাংলায় পা রেখে শিল্পীমহলের সঙ্গে সাক্ষাতে মোদীর দেওয়া বার্তা নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

কলকাতার চা চক্র ও মোদী
শনিবার ২৩ জানুয়ারির সন্ধ্যায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে চা চক্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে টলিউড পাড়ার শিল্পীদের সাক্ষাৎ ও তারপর মোদীর বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। সন্ধ্যায় বিজেপির নেত্রী অঞ্জনা বসু তাঁর টলাগঞ্জের বহু শিল্পী সহকর্মীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলাপ করিয়ে দেন। সেই সময় শিল্পীদের সম্বোধন করে অভিনেত্রী বলেন, ' স্যার এঁরা কলকাতার ইন্টেলেকচুয়াল।' যার উত্তরে মোদীর বার্তা তাৎপর্যবাহী বলে দাবি অনেকের।

মোদীর বক্তব্য ও বাংলার রাজনীতি
এদিকে শিল্পীমহলের সঙ্গে আলাপ পরিচয়ের পর মোদী প্রত্যুত্তরে মৃদু হেসে জানান, ' কলকাত্তা মে তো সব হি ইন্টেলেকচুয়াল হ্যায়।' যার রেশ ধরেই মোদীর পরবর্তী বক্তব্য, আমি আসতে থাকব, দেখা হতে থাকবে। এমনই তথ্য দিয়েছে এক নামী সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন। প্রসঙ্গত, বাংলায় যেখানে একের পর এক কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতার সমাগম ও তাঁদের উপস্থিতিতে একাধিন নামী ব্যক্তিত্বের বিজেপি যোগ চলছে, তার প্রেক্ষাপটে মোদীর এই বক্তব্যকে অনেকেই তাৎপর্য পূর্ণ বলে মনে করছেন।

রুদ্রনীল ও মোদী অধ্যায়
প্রসঙ্গত, ২৩ জানুয়ারি মোদীর বঙ্গসফরে তাঁর সঙ্গে রুদ্রনীলের সেলফি একটি বড় রাজনৈতিক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন ধরেই বেসুরো রুদ্রনীল। শুক্রবার এক বার্থডে পার্টিতে গভীর রাতে তাঁর সঙ্গে এক ফ্রেমে ধরা দেন শুভেন্দু অধিকারী। এমন এক পরিস্থিতিতে মোদীর ফের বাংলায় আসা ও সবার সঙ্গে দেখা করার বার্তা বেশ তাৎপর্যবাহী বলে মনে করছেন অনেকে।

রুদ্রনীল-বাবুল রসিকতা
এক জনপ্রিয় বাংলা সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, ২৩ জানুয়ারি যাঁরা রুদ্রনীল ওবাবুলকে কাছ থেকে দেখেছেন , তাঁরা লক্ষ্য করেছেন দুই ব্যক্তিত্বের মধ্যে ঠাট্টা মশকরার আমেজ। বাবুল নাকি সেখানে রুদ্রনীলের সঙ্গে ঢুকতে গিয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে এগিয়ে যান। আর তা নিয়েই মন্ত্রীর সঙ্গে টলিউড সেলেবের কথাবার্তা, রসিকতা হয় বলে খবর।

প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য ও কলকাতা
কার্যত যা শোনা যাচ্ছে, তাতে কলকাতার বুকে অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর চা চক্র পর্বে নরেন্দ্র মোদীর কথা, ব্যবহারের মুগ্ধ। অনেকেরই সেলফির আর্জিতে যেমন এগিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী, তেমনই এনআইএর প্রাক্তন সদস্যদের সঙ্গে টেবিলের কাছে গিয়ে আলাপ করে, নমস্কার বিনিময় করতেও প্রধানমন্ত্রীকে দেখা গিয়েছে বলে খবর। আর তাতেই কলকাতার বহু বাসিন্দার মন প্রধানমন্ত্রী জয় করেছেন বলে দাবি একাধিক মহলের।