ওয়াশিংটন: গত কয়েক বছরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজত্বে তাঁকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছে অনেক। তাঁর একাধিক বক্তব্য বারবার শিরোনামে এসেছে। এবার একের পর এক মিথ্যা কথা বলার অভিযোগ উঠল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। একটা আধটা নয়, একেবারে রেকর্ড সংখ্যক মিথ্যার অভিযোগ প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ ফাঁস করেছে সেই তথ্য।
২০ জানুয়ারি থেকেই আমেরিকার শাসনভার পাকাপাকি ভাবে নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। এদিকে করোনা মোকাবিলা হোক বা নির্বাচন প্রতিক্ষেত্রেই বিগত কয়েক বছরে একাধিক ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে বিড়ম্বনা বাড়িয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত এক বছরের এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে করোনা সংক্রান্ত সবথেকে বেশি ভুল তথ্য ছড়িয়েছেন স্বয়ং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এরই মধ্যে সদ্য প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে শেষ চার বছরের শাসনকালে মোট ৩০ হাজার ৫৭৩টি ভিত্তিহীন দাবি করেছেন ট্রাম্প, ছড়িয়েছেন ভুয়ো খবরও। বলেছেন মিথ্যে কথা। ট্রাম্পের মেয়াদকালের শেষ এক বছরেই সবথেকে বেশি মিথ্যা কথা বলেছেন তিনি।
আমেরিকার জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ সম্প্রতি এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে বলে জানা যাচ্ছে। জনসভা এবং নিজের টুইটার হ্যান্ডলেই ট্রাম্প সবচেয়ে বেশি মিথ্যে দাবি করেছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন মুলুকের এই জনপ্রিয় সংবাদপত্র।
এদিকে হোয়াইট হাউস ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও, সেনেটে তাঁকে ইমপিচমেন্ট শুনানি এখনও বাকি। তবে এই মিথ্যার রেকর্ড স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। সবথেকে বড় মিথ্যেবাদী রাষ্ট্রপতির তকমা জুড়েছে তাঁর কপালে। ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর প্রথম বছরে প্রকাশ্যে দিনে অন্তত ৪টে করে মিথ্যে বলেছেন। এমনকী করোনাকালে তাঁর মিথ্যে বলার মাত্রা অতীতের সমস্ত রেকর্ডই ভেঙে ফেলে বলেও জানা যাচ্ছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.