কলকাতা: ভোটের মুখে তড়িঘড়ি বীরভূম ও পুরুলিয়ার এসপি-সহ চার আইপিএস কে বদলি করা করা হয়েছে৷ যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতোর৷ যদিও নবান্ন জানিয়েছে এটা ‘রুটিন’ বদলি৷

সামনেই বিধানসভা ভোট৷ কিন্তু তার আগেই তড়িঘড়ি চার আইপিএস এর রদবদলের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বরাষ্ট্র দফতর৷ বীরভূমের পুলিশ সুপার পদে পাঠানো হল আইপিএস মীরাজ খালিদকে৷

তিনি কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল পদে ছিলেন৷ আর বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংকে পাঠানো হয়েছে এসপি ট্রাফিক দুর্গাপুর পদে৷ পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার করা হয়েছে বিশ্বজিৎ মাহাতকে৷

তিনি আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের ওয়েস্ট জোনের ডিসি পদে ছিলেন। আর পুরুলিয়ার বর্তমান পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগানকে সিআইডি’র এসএস করা হয়েছে৷

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ইলেকশন কমিশন বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিং এবং পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস. সেলভামুরুগানকে জিজ্ঞাসা করেন, আগের নির্বাচনে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল কিনা? সেই প্রশ্নের উত্তরে আইপিএসরা ‘হ্যাঁ’ বলেন। এরপরই রাজ্য সরকার তড়িঘড়ি চার আইপিএস কে বদলি করেছে বলে বিরোধী রাজনৈতিক মহল মনে করছে৷

রাজ্য সরকার ওই আইপিএসদের এই মূহুর্তে বদলি না করলে ইলেকশন কমিশন তাঁদের সরিয়ে দিতে পারে৷ এমন আশঙ্কা থেকেই বদলি! এর আগে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তিন আইপিএস বদলের নির্দেশ দেওয়া হয়৷ তারা ছিলেন

ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার রাঠৌর অমিতকুমার ভরত,আইপিএস ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় ও সৈকত ঘোষ৷ ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার রাঠৌর অমিতকুমার ভরতকে বদলি করা হয় রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র পুলিশের কমান্ড্যান্ট পদে৷ যা অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদ৷

অন্যদিকে অমিত কুমারের জায়গায় ঝাড়গ্রামের নতুন পুলিশ সুপার হন আইপিএস ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়৷ তিনি বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি ট্রাফিক পদে নিযুক্ত ছিলেন। সেই পদে স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন আইপিএস সৈকত ঘোষ। তিন আইপিএসকে ছাড়ার জন্য রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷

ওই চিঠির তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেছিলেন, এভাবে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব সামলানোর মাঝেই তিন আইপিএসকে কেন্দ্রের ডেপুটেশন চাওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি৷ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় বিতর্কে জড়িয়ে-পড়া তিন আইপিএস অফিসার রাজীব মিশ্র, প্রবীণ ত্রিপাঠি এবং ভোলানাথ পাণ্ডেকে রাজ্যের বাইরে বদলি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

মন্ত্রক সূত্রে এই খবর। প্রথমে ওই তিন অফিসারকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এরপর রাজ্য সরকারের তরফে পাল্টা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ওই অফিসারদের ছাড়া হবে না।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।