নেতাজিকে ভারতরত্ন দেওযা হোক, চান না তাঁর কন্যা অনিতা বসু পাফ!
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবির বিরোধিতা করলেন তাঁর কন্যা অনিতা বসু পাফ৷ তাঁর মতে, এতদিন পর তাঁকে ভারতরত্ন দেওয়ার কোনও মানে হয় না৷ কারণ তিনি মনে করেন, এক্ষেত্রে অনেক দেরি হয়ে গেছে৷ ১২৫তম জন্মদিনের ঠিক আগেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে ভারতরত্ন সম্মান দেওয়ার দাবি উঠেছে৷

এতদিন পর নেতাজিকে ভারতরত্ন সম্মান দেওয়ার দাবির বিরোধিতা
এই বিষয়ে অনিতা বসু পাফ বলেছেন, 'এতদিন পর নেতাজিকে ভারতরত্ন সম্মান দেওয়ার দাবির আমরা বিরোধিতা জানাই৷ এর আগে কম যোগ্যতা সম্পন্ন বহু মানুষ এই সম্মান পেয়েছেন৷ নেতাজিকে প্রথম ভারতরত্ন দেওয়া হলে সেটাই হত যথাযথ৷ কিন্তু এখন আর সেটা সম্ভব নয়৷' যদিও নেতাজির ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি৷ আশা করছেন, যেসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এতে সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন৷

সিদ্ধান্তে খুশি নেতাজি কন্যা
১২৫তম জন্মজয়ন্তীতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে বিশেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে রেলমন্ত্রক৷ হাওড়া-কালকা মেলের নাম পরিবর্তন করে তা নেতাজি এক্সপ্রেস করার কথা ঘোষণা করেছে ভারতীয় রেল৷ এই সিদ্ধান্তে খুশি নেতাজি কন্যা৷ তাঁর মতে, রেলমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্ত একেবারে যথাযথ৷ তথ্য় অনুযায়ী, ১৯৪১ সালে অন্তর্ধানের পর নেতাজি বিহারের গোমোহ থেকে কালকা মেলে চড়েছিলেন৷

'পরাক্রম দিবস' নাকি 'দেশনায়ক দিবস'
সেই কারণেই ২৩ জানুয়ারি তাঁর জন্মজয়ন্তীতে হাওড়া-কালকা মেলের নাম পরিবর্তন করে নেতাজি এক্সপ্রেস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক৷ এদিকে নেতাজির জন্মজয়ন্তী 'পরাক্রম দিবস' নাকি 'দেশনায়ক দিবস' হিসেবে পালিত করা হবে তা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের দ্বন্দ্ব প্রকট হয়েছে৷ এই বিষয়ে অনিতা বসু পাফের মন্তব্য, 'দুটো নাম তুলে ধরা হয়েছে৷ এক্ষেত্রে দুই তরফের সহযোগিতা থাকলে ভালো হয়৷'