নয়াদিল্লি: দেশে করোনা সংক্রমণ অব্যহত। শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হলেন ১৪ হাজার ২৫৬ জন। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও ১৫২ জনের।
নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যুর জেরে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ল। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ কোটি ৬ লক্ষ ৩৯ হাজার ৬৮৪ জন। এরমধ্যে অবশ্য অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬৬২ জন। মোট সুস্থ হয়ে উঠেছে এমন মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৩ লক্ষ ৮৩৮ জন।
দেশে করোনার জেরে এখন অবধি মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ১৮৪ জনের। দেশজুড়ে মোট ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ১৩ লক্ষ ৯০ হাজার ৫৯২ জনের।
অন্যদিকে ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে টিকাকরণ৷ প্রথম ৬ দিনে টিকা নেওয়ার পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগজনক৷ অগ্রাধিকারের তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও টিকা নিয়ে আসেননি বহু মানুষ৷ তবে শুক্রবারে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। যা কিনা এখন অবধি নয়া রেকর্ড।
দিল্লি, মুম্বই এবং দেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকে মিলেছে কম টিকাকরণের খবর৷ মানুষের মধ্যে টিকা নিয়ে এখনও দ্বিধা রয়েছে৷ এর পিছনে দুটি কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ প্রথমত, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে৷ কারণ এখনও কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলাফল জানা যায়নি৷ দ্বিতীয়ত, কোভ্যাক্সিন না কোভিশিল্ড, স্বাস্থ্যকর্মীরা কোনটা নেবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই তাঁদের হাতে৷
অন্যদিকে শুক্রবার থেকে বাণিজ্যিক ভাবে টিকা সরবরাহের রাস্তায় হাঁটল কেন্দ্র। প্রথমে অবশ্য প্রতিবেশী দেশগুলিকে ভ্যাকসিন উপহার স্বরূপ দিয়েছিল কেন্দ্র। শুক্রবার ব্রাজিল এবং মরোক্কোতে ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। ২০ লক্ষ ভ্যাকসিনের ডোজ ব্রাজিলে পাঠানো হয়েছে । দক্ষিণ আফ্রিকা, সৌদি আরবেও এই ভ্যাকসিনের বাণিজ্যিক সরবরাহ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মায়ানমার ও বাংলাদেশ উভয় দেশই ভারত থেকে ৩০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার চুক্তি করেছে। ১২ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন চেয়েছে নেপালও। ১৫ লক্ষ কোভ্যাকসিনের বরাত দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫০ লক্ষ কোভ্যাকসিনের বরাত দিয়েছে ব্রাজিল।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.