রাঁচি: ঝাড়খণ্ডের রাঁচীর রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (রিমস)-এ ভর্তি রয়েছেন জেলবন্দি লালু৷ শনিবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়৷ ফলে লালুপ্রসাদকে দিল্লির AIIMS-এ স্থানান্তরিত করতে চায় পরিবার৷

তবে এর জন্য আদালতের অনুমতি লাগবে৷ আদালতের অনুমতি পেলে শনিবার সন্ধ্যার মধ্যেই লালুকে নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লির AIIMS-এ ৷ ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে৷

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে৷ শনিবার সকালে আরও অবনতি হওয়ায় তাঁকে দিল্লি এইমস-এ স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর পরিবার। এই বিষয়ে চিকিৎসকরাও সম্মতি দিয়েছেন বলে খবর৷

শুক্রবারই লালুর শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ার খবর শুনে হাসপাতালে পৌঁছন স্ত্রী রাবড়ি দেবী, দুই ছেলে তেজপ্রতাপ ও তেজস্বী এবং মেয়ে মিসা৷

ফুসফুসে ইনফেকশন,শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির রিমস হাসপাতালে ভর্তি হন আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব৷ তাছাড়া তিনি নিউমোনিয়া আক্রান্ত৷ তবে লালুর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ।

লালুপ্রসাদের অসুস্থতার খবরে বিহারের রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য। আরজেডি সুপ্রিমোর অসুস্থতা নিয়ে চিন্তিত ঝাড়খণ্ড সরকারও।মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন লালুপ্রসাদের খবর নিচ্ছেন।কার্যত বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উদ্বেগ বেড়েছে তাঁর অনুগামীদের মধ্যেও।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির মামলায় রাঁচিতে বন্দি৷ তবে তিনি জামিন নিতে মরিয়া। বিহারে প্রবেশের জন্য আইনত কিছু বাধা আছে এখনও।

উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডে গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারানোর মূল কারিগর লালুপ্রসাদ যাদব। তাঁর নির্দেশে তৈরি হয় জেএমএম, কংগ্রেস ও আরজেডি মহাজোট। তাতে শিলমোহর দেন জেএমএম ‘গুরুজি’ শিবু সোরেন। মহাজোট জয়ী হয়। সেই জোটের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। পরে এই মামলার চাঁইবাসা ট্রেজারির অর্থ তছরুপে দোষী প্রমানিত হয়ে রাঁচির জেলে যান লালুপ্রসাদ। অভিযোগ, জেল হাসপাতাল থেকেই লালুপ্রসাদ নিজের মতো রাজনীতি চালাচ্ছেন।

তবে তাঁর জন্য বিশেষ সুবিধা আছে। বিহারে বিধানসভা ভোটে রাঁচির রিমস হাসপাতালের বিশেষ কামরা থেকে আরজেডি মহাজোটের নেতৃত্ব দেন তিনি। মহাজোট ক্ষমতায় না এলেও বিজেপি জেডিইউ জোটের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলেছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।