কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সমালোচনায় বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। এদিন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আমন্ত্রিত ছিলেন অনুষ্ঠানেষ মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুরুর সঙ্গে-সঙ্গে ওঠে জয় শ্রীরাম স্লোগান। তাতে ‘ক্ষুব্ধ’ হয়ে তড়িঘড়ি বক্তৃতা শেষ করে মঞ্চ ছাড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপে তাঁর সমালোচনা করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য।
টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে তিনি লিখেছেন, ‘‘বিশ্বভারতীর শতবর্ষ পূর্তিতে অংশ নিতে অস্বীকার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উত্তরাধিকারকে অপমান করেছিলেন। তিনি নেতাজির বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে তার বক্তব্য না দিয়ে একই কাজ করেছেন। বাংলা তার মণীষীদের এই উপেক্ষা সহ্য করবে না।’’
উল্লেখ্য, নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষে এদিন ভিক্টোরিয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দু’জনে একসঙ্গেই প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সময়ও পাশাপাশি বসেছিলেন মমতা-মোদী।
বিভ্রাট ঘটল কিছুক্ষণ পরই। মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে বক্তব্য রাখার জন্য আহ্বান করতেই দর্শকাসন থেকে উঠল ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান। স্বাভাবিকভাবেই তাতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন মমতা। একেবারে সরকারি মঞ্চে উঠে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মোদীর সামনেই। মঞ্চে উঠে মমতা বলেন, ‘এটা সরকারি অনুষ্ঠান, কোনও রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান নয়।’
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ যে তাঁরা কলকাতায় এরকম একটি অনুষ্ঠান করেছেন। কিন্তু, এভাবে কাউকে আমন্ত্রণ করে অপমান করা উচিৎ নয় বলে মন্তব্য করেছেন মমতা। একথা বলেই মঞ্চ ছাড়েন তিনি। এই ঘটনায় তিনি যে চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন তা স্পষ্ট ছিল মুখ্যমন্ত্রী শরীরী ভাষায়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.