নয়াদিল্লি : আশার আলো। ভারতে যৌন নির্যাতনের মত অপরাধে বাড়ছে সাজার পরিমাণ ও গুরুত্ব। সমীক্ষা বলছে ২০২০ সালে যৌন নির্যাতনের মত অপরাধের ক্ষেত্রে ৬৫ শতাংশ বেড়েছে ফাঁসির সাজার সংখ্যা। ট্রায়াল কোর্টে রায়ের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে।

নয়াদিল্লির ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটির তরফে সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ২০১৯ সালে যেখানে যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে ৫৩ শতাংশ মামলায় ফাঁসির সাজা হত, সেখানে ২০২০ সালে বেড়েছে সেই সংখ্যা। ৬৫ শতাংশ হার বেড়েছে ফাঁসির সাজার। এর মধ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, এই মামলাগুলির ৮২ শতাংশ ক্ষেত্রে শিশুরা যুক্ত।

প্রজেক্ট ৩৯এ শীর্ষক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, গত পাঁচ বছরে এই প্রথম যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে এত বেশি পরিমাণে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে, যা বেশ আশাপ্রদ। বুধবার এই সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে এই পরিমাণ বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। ২০১৬ সালে যেখানে ফাঁসির সাজার হার ছিল ১৭.৬৪ শতাংশ, ২০১৭ সালে তা দাঁড়ায় ৩৭.২৭ শতাংশ, ২০১৮ সালে তা হয় ৪১.০৮ শতাংশ, ২০১৯ সালে ৫৩ শতাংশ ও ২০২০ সালে ৬৫ শতাংশ।

উল্লেখ্য, নির্ভয়া কাণ্ডে চার অপরাধীর ফাঁসি হয়েছে। শান্তি পেয়েছে নির্ভয়ার আত্মা। চরম শাস্তি হয়েছে অক্ষয়, পবন, মুকেশ ও বিনয়ের। নির্ভয়াকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার ৭ বছর পর অবশেষে বিচার পেয়েছেন তাঁর বাবা-মা৷ আইনের ফাঁকফোকরের সুযোগ নিয়ে বারবার মৃত্যুদন্ড এড়িয়ে যায় দোষীরা৷ শেষমেশ প্রাণভিক্ষার সব আর্জি খারিজ হয়ে যায়৷ পরে ২০শে মার্চ তিহার জেলে নির্ধারিত সময়ে ফাঁসির সাজা হয় নির্ভয়াকাণ্ডে চার দোষীর৷

১৯৯৩ সালের মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের অন্যতম মাথা ইয়াকুব মেমনকে ফাঁসি দেওয়া হয় ২০১৫ সালের জুলাই মাসে। তারপর পাঁচ বছর পরে ফাঁসির সাজা কার্যকর হয় নির্ভয়া কান্ডের অপরাধীদের ক্ষেত্রে।

যৌন নির্যাতনের অপরাধের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে উত্তর প্রদেশের আদালতগুলি। ৭৭টি মোট ফাঁসির সাজার ১৩টিরই শুনানি হয়েছে ২০২০ সালে। এরপরেই স্থান পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।