লন্ডন: আশঙ্কাই সত্যি হল শেষমেষ। বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলেন ব্রিটিশ টেনিস তারকা অ্যান্ডি মারে। গত সপ্তাহে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তিনবারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী তারকার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। যদিও গ্র্যান্ড স্ল্যাম শুরুর আগে অবধি এই সময়কালের মধ্যে মারে সুস্থ হলে তাঁকে বিশেষ চার্টার্ড বিমানে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, লন্ডন থেকে মেলবোর্নগামী বিমানে চড়ার মাত্র কয়েকঘন্টা আগেই মারের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর মেলবোর্নগামী প্রতিযোগীদের বিমানে করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটায় সমস্ত হিসেব-নিকেশ বদলে যায়। মেলবোর্নে পৌঁছনোর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে করোনা সংক্রামিত হন একাধিক প্রতিযোগী। স্বাভাবিকভাবেই সংক্রামিত প্লেয়ার কিংবা সাপোর্ট স্টাফদের সংস্পর্শে থাকা প্রত্যেকের কোয়ারেন্টাইন আরও কঠোরভাবে বলবৎ করা হয়। বাকিদের অনুমতি মিললেও কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রতিযোগীদের ১৪ দিন হোটেলের রুম থেকে বেরনোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

এমনিতেই করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আপাতত লন্ডনে সেলফ-আইসোলেশনে রয়েছেন মারে। তাই মেলবোর্নে পৌঁছে ফের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে সায় ছিল না ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে সোনাজয়ীর। বিষয়টি নিয়ে টেনিস অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কয়েকপ্রস্থ আলোচনাও হয় মারের। কিন্তু তাঁর ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন নিয়ম শিথিল না হওয়ায় শেষমেষ বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম থেকে নাম প্রত্যাহারই করে নিলেন মারে। ব্রিটিশ তারকা এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে অনুরাগীদের জ্ঞাত করেছে।

মারে জানান, ‘টেনিস অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ওয়ার্কেবল কোয়ারেন্টাইন নিয়ে আমার নিয়মিত কথা হয়েছে। কিন্তু শেষ অবধি আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। তবে প্রচেষ্টার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। অস্ট্রেলিয়ায় না খেলতে পারার জন্য আমি ভীষণভাবে হতাশ। অস্ট্রেলিয়া এমন একটা দেশ যেখানে আমি খেলতে বরাবর পছন্দ করি।’ বর্তমান বিশ্বের ১২৩ নম্বর মারে ডিসেম্বরের শেষে আসন্ন অস্ট্রেলিয়া ওপেনে ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি পেয়েছিলেন। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।