নয়াদিল্লি: দক্ষ হাতেই কোভিড পরিস্থিতি সামলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তাঁর ভূমিকা নিয়ে সন্তুষ্ট দেশের মানুষ৷ তাঁর অ্যাপ্রুভাল রেটিংও বেশ তুঙ্গে৷ মুড অফ দা নেশন (MOTN)-জানুয়ারি ২০২১ সমীক্ষা বলছে, আজ এই মুহূর্তে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে বিপুল ভোটে ফের ক্ষমতায় ফিরবে ভারতীয় জনতা পার্টি৷

দেশের ১৯ রাজ্যে ৯৭টি লোকসভা এবং ১৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রজুড়ে এই দ্বিবার্ষিক সমীক্ষা চালানো হয়৷ ৩ জানুয়ারি থেকে ১৩ জানুয়ারির মধ্যে ১২,২৩২ জনের সঙ্গে কথা বলা হয়৷ MOTN সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে ভাবে কোভিড পরিস্থিতি সামলেছেন, তাতে সন্তুষ্ট দেশের ৭৩ শতাংশ মানুষ৷ ২৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন তাঁর সিদ্ধান্ত ছিল অসাধারণ৷ আবার ৫০ শতাংশ মানুষের কাছে গোটা বিষয়টি ভালো ভাবে সামলানো হয়েছে৷

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে নমোর প্রতি সমর্থন রয়েছে ৭৪ শতাংশ মানুষের৷ গত বছর অগাস্ট মাসে সমীক্ষায় তাঁর অ্যাপ্রুভাল রেটিং ছিল ৭৮ শতাংশ৷ সেই তুলনায় সামান্য পতন ঘটেছে৷ সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, এনডিএ সরকারের কাজে সন্তুষ্ট ৬৬ শতাংশ মানুষ৷

কাদের নিরিখে সেরার তালিকায় সবার আগে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (৩৯ শতাংশ)৷ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (১৪ শতাংশ) এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি৷

সরকারি কাজের সফলতার শীর্ষে রয়েছে রামমন্দির রায়৷ এর পর রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার (২০ শতাংশ), কোভিড পরিস্থিতি সামাল দেওয়া (১৫ শতাংশ), মেক ইন ইন্ডিয়া অভিযান (৯ শতাংশ) এবং কালো টাকা ক্র্যাকডাউন (৮ শতাংশ)৷

তবে সরকারের ব্যর্থতার তালিকাও নেহাত ছোট নয়৷ ব্যর্থতার দিক থেকে সবার আগে রয়েছে বেকারত্বের ইস্যুটি (২৯ শতাংশ)৷ এর পর যথাক্রমে রয়েছে মূল্য বৃদ্ধি (১৩ শতাংশ), নোটবন্দী (১০ শতাংশ), কৃষক সমস্যা (৯ শতাংশ) এবং কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা (৮ শতাংশ)৷ এমনটাই জানাচ্ছে সমীক্ষা৷

এই মুহূর্তে ভারতের কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল কোভিড পরিস্থিতি৷ এর পরেই রয়েছে বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, কৃষক সমস্যা ও দুর্নীতি৷

তবে অবিলম্বে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে বিজেপি যে ফের ক্ষমতায় ফিরবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই৷ ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ৩০৩টি আসনে জিতে দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।