হাওড়া: একই জেলার দুই বিধায়ক তাঁরা। আর দু’জনের মুখেই ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। এবার একজনের পদত্যাগ। মুখ খুললেন আর এক বিধায়ক।
শুক্রবার সকালেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পদত্যাগপত্র পোস্ট করে চমকটা দিয়েই দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন তিনি। এরপরই ফের নতুন করে বোমা ফাটালেন বৈশালী ডালমিয়া।
ডোমজুড়ের বিধায়ক রাজীব আপাতত মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। আগামিদিনে তিনি কী করবেন, তা এখনও জানা যায়নি। এরই মধ্যে বৈশালী বললেন, যোগ্য লোকদের বিরক্ত করে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ তুলেছেন বৈশালী। এবার ফের মুখ খুললেন তিনি।
এদিন বৈশালী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যে আগেও এইসব অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বা লক্ষীরতন শুক্লার মত ভালো ব্যক্তিরা চলে যাচ্ছেন, আর তার জন্য জেলার কিছু নেতাই দায়ী। নাম না করে এভাবেই তোপ দাগেন তিনি। আগের মতই এদিনই তিনি ওইসব নেতাদের উইপোকা বলে উল্লেখ করেন।
বৈশালীর বক্তব্য, এদের জায়গায় হয়ত নতুন বিধায়ক আসবেন, কিন্তু এতদিন ধরে কাজ করে এরা যে জায়গাটা তৈরি করেছিল, সেটা নতুন কারও তৈরি করতে সময় লাগবে।
লক্ষীরতনের পদত্যাগের পর বৈশালী বলেছিলেন, ভিতরে ভিতরে ‘উইপোকা’র মতো অনেকে তৃণমূলের ক্ষতি করছে৷ উত্তর হাওড়ার বিধায়ক তথা হাওড়া জেলার সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লার দল ও মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বালির বৈশালী ডালমিয়া৷ বিধানসভা নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীরতন শুক্লা তৃণমূল ছাড়ায় দলের ক্ষতি হল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া বলেছিলেন, ‘‘দল ছাড়লেই অনেকে বেইমান বলতে শুরু করবে। কিন্তু যাঁরা ভিতরে ভিতরে উইপোকার মতো দলকে নষ্ট করেছেন, তাঁরা কি বেইমান নয়?’’ তাঁর কথায় ‘‘দলের একটা অংশ আছেন, যাঁরা শুধু লক্ষ্মীকে নয়, আমাদের অনেককেই কাজ করতে দিচ্ছে না। পুরনো কর্মীকে কাজ করতে দিচ্ছেন না। তারা তো আরও বেশি বেইমান। আমার মনে হয় এই বেইমানগুলোকে বের করে দেওয়া উচিত।’’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.