নয়াদিল্লি: “নাগরিকদের সুরক্ষার অধিকার এবং অনলাইন নিউজ মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির অপব্যবহার রোধ” নিয়ে তথ্য ও প্রযুক্তির (আইটি) সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সামনে উপস্থিত হতে চলেছেন টুইটার ও ফেসবুকের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্ক মাধ্যমের প্রতিনিধিরা। নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করা এবং ডিজিটাল স্পেসে মহিলাদের সুরক্ষার উপরে বিশেষ জোর দেওয়ার পাশাপাশি সোশ্যাল বা অনলাইন নিউজ মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির অপব্যবহার রোধ বিষয়ে প্ল্যাটফর্মগুলির প্রতিনিধিদের মতামত শোনার জন্য একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

প্যানেল সদস্যরা বিশেষত বিজেপি সাংসদরা প্যানেল বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের টুইটার হ্যান্ডেলটি ব্লক করার বিষয়টি উত্থাপন করেন। আইটির সংসদের স্থায়ী কমিটির প্রধান ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। বৈঠকে উপস্থিত ছিল এমন এক সূত্র মারফত খবর, বৈঠকে বলা হয়েছে এটি কপিরাইটের একটি ইস্যু। খুব শীঘ্রই অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধার করার কথাও টুইটার কর্মকর্তারা এদিন স্পষ্ট করেছেন। বৈঠকে হোয়াটসঅ্যাপের গোপনীয়তা নীতি নিয়েও আলোচনা হয়। সংস্থার প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে বর্তমানে যে বিতর্ক চলছে সেই প্রসঙ্গে সদস্যরা ফেসবুক প্রতিনিধিকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। প্যানেল সদস্যরা জানতে চান, হোয়াটসঅ্যাপের এই নতুন এই নীতিটি কীভাবে ভারতে ম্যাসেজিং অ্যাপ ব্যবহারকারীদের উপর প্রভাব ফেলবে?

প্যানেল সদস্যরা বলেন, “যাতে ভারতের মানুষের উদ্বেগের সমাধান করা যায়, তাই ভারতের গোপনীয়তা আইনটি এই ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা উচিত।” সূত্রের খবর, ফেসবুকের কর্মকর্তারা প্যানেলকে বলেছিলেন যে এই নীতিটি ২০১৬ সাল থেকে কার্যকর রয়েছে। তাঁরা বলেন, “এটি একটি পুরনো নীতি। ফেসবুক সম্পর্কে এই নীতি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাচ্ছে।” বিরোধী সাংসদরাও এই বৈঠকে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলিতে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ব্লক হওয়া নিয়েও সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাঁরা জানতে চান একই নীতি ভারতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য কিনা।

এই ইস্যুতে কিছু সাংসদ বলেন যে এই ক্ষেত্রেও ভারতের উচিত আইন প্রয়োগ করা। কারণ জ্বালাময়ী বক্তৃতা বা পদের ক্ষেত্রে দেশে আইন প্রয়োগ করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিরোধী দলের সাংসদ সংবাদ সংস্থাকে এই কথা জানিয়েছেন। এদিকে, হোয়াটসঅ্যাপের এক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমরা সংসদীয় কমিটির সামনে উপস্থিত হওয়ার জন্য এবং আমাদের মতামত দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা ভবিষ্যতেও মাননীয় কমিটিকে সহায়তা করার অপেক্ষায় থাকব।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।