শিবামোগ্গা: রাত ১০টা ২০ মিনিট নাগাদ তীব্র শব্দে কেঁপে উঠেছিল কর্ণাটকের শিবামোগ্গা এলাকা। হয় তীব্র বিস্ফোরণ। এই বিস্ফোরণের ফলে একাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা করছে রাজ্য পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ৮ জনের দেহ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কর্ণাটকের শিবমোগ্গা জেলায় পাথর খনির কোয়ারিতে বিস্ফোরণ হয়। সেখানে বেশ কয়েক জন মারা যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “অন্ধকার হওয়ায় এখনই সঠিক সংখ্যাটি নিশ্চিত করা যায়নি।” আব্বালাগেরে গ্রামের কাছে হুনাসন্ডিতে কোয়ারিতে বিস্ফোরণটি কীভাবে হয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট করেনি পুলিশ। বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনা হয়েছে। গোটা এলাকাটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবরে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণটি ঘটেছিল ডিনামাইটের কারণে। মাইনিংয়ের জন্য ব্যবহৃত বিস্ফোরক একটি ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গাড়িটি কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় মৃতদের দেহ সনাক্ত করা যায়নি। শিবমোগার সিনিয়র জেলা ও পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। ঘটনার তদন্ত চলছে।
বৃহস্পতিবার রাত তখন ১০ টা ২০। কারও বাড়িতে ডিনারের আয়োজন চলছে, কেউ হয়ত সারাদিনের কাজ সেরে পরিবারের সঙ্গে আড্ডায়। এর মধ্যেই আচমকা বীভৎস শব্দ। শব্দের ধাক্কায় কেঁপে উঠল চারপাশ। এক ঝটকায় বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লেন মানুষজন। কী হয়েছে বুঝে উঠতে পারেননি অনেকেই। সন্দেহের বশেই কেউ ভাবছেন ভূমিকম্প, আবার কেউ ভাবছেন বিস্ফোরণ। কর্ণাটকের শিবামোগ্গা থেকে এই শব্দে জোরালোভাবে শোনা গিয়েছে। এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, এত জোরে শব্দে জীবনে শোনেননি তিনি। কারও মতে এটা সনিক বুম। টুইটারে অনেকেই ভেঙে যাওয়া বাড়ির ছবি পোস্ট করেছেন। অনেকে আবার রাস্তায় মানুষের ক্ষয়ক্ষতির ছবিও পোস্ট করেছে। একাধিক বাড়ির কাচ ভেঙে গিয়েছে, ফাটলও ধরেছে কিছু কিছু বাড়িতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, আসলে এটা ডিনামাইট বিস্ফোরণের শব্দ। হুনাসোদু নামে একটি গ্রাম থেকে এই শব্দ এসেছে বলেও জানা যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে যা জানা যাচ্ছে তাতে একটি লরি ডিনামাইট নিয়ে যাচ্ছিল, আর তাতেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে। শুধু শোবামোগ্গা নয়, শব্দে শোনা গিয়েছে চিক্কামাগালুরু জেলার কোপ্পা ও এনআর পুরা এলাকা থেকেও। গত বছর মে মাসে এমনই এক রহস্যময় শব্দ শোনা গিয়েছিল বেঙ্গালুরুতে। পরে প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে জানানো হয় যে, এটা ছিল ফাইটার জেটের শব্দ। তবে এদিন কর্ণাটকের ঘটনায়, শব্দটা ঠিক কিসের, তা এখনও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়নি। তবে অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার অনুরাঝধা জানিয়েছেন, “শিবমোগ্গা থেকে ৫ থেকে ৬ কিলোমিটারের মধ্যে বিস্ফোরণটি ঘটেছে। মৃত্যুর সংখ্যা এখনও নথিভুক্ত হচ্ছে।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.