কলকাতা: রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাঁর পদত্যাগপত্রে পদ্ধতিগত ‘ত্রুটি’ থাকার কারণে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনই খবর সূত্রের। এদিন রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রিসভা ছাড়লেও এখনই তৃণমূল ছাড়ার ব্যাপারে কোনও ভাবনার কথা জানাননি রাজীব।

একটানা বেশ কয়েকদিনের জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন রাজীব। এরপর সেই পদত্যাগপত্রের কপি জমা দিতে রাজভবনে যান তিনি। অন্তত ৩০ মিনিট ছিলেন সেখানে। এরপর বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করেন।
দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ, বেদনা নিয়েই রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবনে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি নিজেই এমনই জানিয়েছেন। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।

এদিন সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে রীতিমতো কেঁদে ফেলেন রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন এই মন্ত্রী। এদিন ফেসবুকে পদত্যাগ পত্র পোস্ট করেন তিনি। পরে যান রাজভবনে। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজীব। সাংবাদিকদের সামনে কথায় উঠে আসে শুধুই ক্ষোভ আর কষ্ট। কার্যত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ডোমজুড়ের বিধায়ক।

তিনি বলেন, ‘‘আজ নয়, আসলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আড়াই বছর আগে।’’ সেই সময় সেচ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন রাজীব। এদিন তিনি বলেন, ‘‘দফতর বদল হতেই পারে, কিন্তু নূন্যতম সম্মান আশা করেছিলাম।’’

অন্যদিকে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফাপত্রে পদ্ধতিগত ‘ত্রুটি’ রয়েছে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। সাংবিধানিক নিয়ম না মেনে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্তফাপত্র দিয়েছেন বলে দাবি। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজীবের ইস্তফা গ্রহণ না করে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।