নয়াদিল্লি: করোনার করাল গ্রাস থেকে মুক্তি পেতে গত শনিবার থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে টিকাকরণ কর্মসূচি৷ কিন্তু দেখে যাচ্ছে, যে সকল হাসপাতালে টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে সেখানে কোভ্যাক্সিন নয়, বরং কোভিশিল্ডের চাহিদাই তুঙ্গে৷ টিকা নিতে আসা বেশিরভাগ মানুষই কোভিশিল্ডের ডোজ নিতে আগ্রহী৷

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীদের একটা বড় অংশ কোভিশিল্ডকে বেছে নিয়েছেন৷ টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোভ্যাক্সিন কতটা কার্যকরী তার যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ এখনও পর্যন্ত হাতে না আসায় তা নিয়ে উদ্বিগ্ন দিল্লির চিকিৎসক মহল৷

এদিকে ১৯ জানুয়ারি কোভ্যাক্সিন নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি সতর্কতা জারি করে ভারত বায়োটেক৷ সেখানে জানানো হয়েছে কারা কারা এই টিকা নিতে পারবে না৷ বলা হয়েছে, যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং একাধিক ওষুধ খেতে হয় তাঁদের কোভ্যাক্সিন না নেওয়া উচিত৷ তাঁরা টিকা নিলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ এলার্জি বা অন্য কোনও গুরুতর অসুখ থাকলে আগে থেকে চিকিৎসককে জানানোর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে৷

জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত দিল্লির ছয়টি হাসপাতালে কোভ্যাক্সিন এবং রাজ্য পরিচালিত হাসপাতালগুলিতে দেওয়া হচ্ছে কোভিশিল্ড৷ যা নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে একটি বিভ্রান্তি এবং অসন্তোষ দেখা দিয়েছে৷ একই ভাবে কোভ্যাক্সিনের ডোজ নিতে অস্বীকার করেছেন বিহারের বহু চিকিৎসক ও পিজি ছাত্রছাত্রীরা৷ কারণ এখনও এই ভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের রিপোর্ট জানা যায়নি৷

গত ১৬ জানুয়ারি দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসকরা ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন নিতে অস্বীকার করে৷ বদলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিশিল্ড দেওয়ার আর্জি জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে৷ মেডিক্যাল সুপারকে একটি চিঠিতে তাঁরা জানান, কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালের সম্পূর্ণ রিপোর্ট না আসায় এই টিকা নেওয়া ক্ষেত্রে আবাসিক চিকিৎসকরা দ্বিধার মধ্যে রয়েছেন৷ তাই আমরা কোভশিল্ডের ডোজ দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি৷ কারণ ছাড়পত্র পাওয়ার আগেই এই টিকার ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে৷

চিকিৎসকদের মধ্যে এই প্রতিক্রিয়া তৈরি হওয়ার পরই সকলকে আতঙ্কিত না হওয়ার আর্জি জানিয়েছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন৷ ভারতীয় বিজ্ঞানীদের উপর আস্থা রাখার আর্জি জানিয়েছেন তিনি৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।