বেজিং: করোনা ভাইরাস ঠিক কোন কোন পথে ছড়ায়, তা নিয়ে গবেষণা হয়েছে বিস্তর। সাধারণত জড় বস্তুতে ভাইরাস বেশিক্ষণ বাঁচে না। তবে আগেও বেশ কিছু প্যাকেটে ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। এবার আমদানি করা চেরিতে মিলল সেই ভাইরাস।

পূর্ব চিনের জিয়াংশু প্রদেশে উজি নামের একটি জয়গায় এরকম কিছু চেরি পাওয়া গিয়েছে। কোন দেশ থেকে এই চেরি এসেছে, তা ঠিক স্পষ্ট নয়, তবে ওই সঙ্গে আসা সব চেরি নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে। চিনের সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।

গত ১৮ ডিসেম্বর ওই চেরি সংগ্রহ করা হয়, পরে তা বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হয়। এদিকে আবার চেরির দামও ২০ শতাংশ জমে গিয়েছে, ফলে চিনের বাসিন্দারা অন্যান্য বারের তুলনায় বেশি চেরিও কিনেছেন। চাহিদা মেটাতে জোগানও এসেছে।

ই-কমার্স সাইটগুলোতে চেরোর দাম প্রতি কিলো ১২০ ইউয়ানের বদলে ৮০ ইউয়ান করে দেওয়া হয়েছে। একধাক্কায় ৩৪ শতাংশ কমেছে দাম। তবে এবাভে চেরোর গায়ে ভাইরাস মেলায় চিন্তিত সাধারণ মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই আমদানি করা চেরি কেনার আগে দু’বার ভাবছেন গ্রাহকেরা।

অনেকেই জানিয়েছেন যে তাঁরা এবার দাম কমে যাওয়ায় চেরি বেশি করে কেনা শুরু করেছিলেন, কিন্তু এরকম একটি খবর সামনে আসায় দমে গিয়েছেন তাঁরা।

মূলত চিলি ও অস্ট্রেলিয়া থেকে চেরি আমদান করা হয় চিনে। এবছর অবশ্য চিলি থেকে বেশি চেরি আমদানি করা হয়েছে।

চিনে আগেও খাবারের প্যাকেটে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে।

চিনের শহর জিনানে ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড ও বলিভিয়া থেকে আমদানি করা ফ্রোজেন গরুর মাংসের বাক্সে করোনাভাইরাস পাওয়া যায় আগেই।

সাংহাইয়ের ইয়াংশান বন্দরের কাস্টমস হয়ে পণ্যগুলো এসেছিল। যে কোম্পানিগুলো এসব পণ্য পাঠিয়েছে তাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

এই ঘটনার পর দূষিত এসব পণ্যের সংস্পর্শে আসা ও সম্পর্কিত অন্যান্য ব্যক্তিসহ সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি লোকের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয় আর তাদের সবার ফল নেগেটিভ আসে।

গত সপ্তাহে চিনের কর্তৃপক্ষ লানচো শহরে সৌদি আরব থেকে আমদানি করা চিংড়ির, উহানে ব্রাজিল থেকে আমাদানি করা গরুর মাংসের এবং শানডং ও জিয়াসু প্রদেশে আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি করা গরুর মাংসের বাক্সে করোনাভাইরাস পেয়েছিল। বিশ্বে গরুর মাংস কেনার ক্ষেত্রে শীর্ষ দেশ চিন আর ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা বৃহত্তম সরবরাহকারী।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।