স্টাফ রিপোর্টার , কলকাতা : পূর্বাভাস মিলিয়ে আরও এক ডিগ্রি নামল কলকাতার তাপমাত্রা। শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল বৃহস্পতিবার ২৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি ছিল। আর্দ্রতার পরিমান ব্যাপক ভাবে কমেছে। মূলত সকালের দিকে তা অনেকটাই কম। তাই শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ, সর্বনিম্ন ২৬ শতাংশ।
হাওয়া অফিসের তথ্য মাফিক বৃহস্পতিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এক লাফে ছয় ডিগ্রি বেড়ে পরের দিনেই চার ডিগ্রি কমে গিয়ে স্বাভাবিক। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল গত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ বুধবার ছিল ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক। আর্দ্রতার পরিমান যদিও এখনও বেশি রয়েছে। সর্বোচ্চ ৯৯ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৫৭ শতাংশ। দমদমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সল্টলেকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সোমবার ২৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক। আর্দ্রতার পরিমান ছিল সর্বোচ্চ ৯৯ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৫৮ শতাংশ। দমদমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সল্টলেকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রসঙ্গত, আবহাওয়ার অহরহ পরিবর্তন হচ্ছে কলকাতায়। একদিন স্বাভাবিকের নীচে, পরের দিনেই পাখা চালানোর পরিস্থিতি , কুয়াশা ভর্তি আকাশ। পরের দিনেই আবার ঠাণ্ডার আভাস। সব মিলিয়ে কলকাতার শীত যেন এই মরসুমে একটু বেশিই ভবঘুরেসম আচরন করছে। শুরুটা হয়েছিল।
২০২০, অক্টোবরের শেষ নভেম্বরের শুরুতেই। দুর্গা ঠাকুর শ্বশুর বাড়ি ফিরে যেতেই বাতাসে ঠাণ্ডার আভাস। কলকাতার বাঙালি পাখা বন্ধ করে দিয়ে লেপ কম্বল বের করার চিন্তা ভাবনা করছে। ঠিক এমন সময়েই আমূল পরিবর্তন হয় আবহাওয়ায়। বেমালুম কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ থেকে শীতের রেশ হারিয়ে যায়। আচমকা পারদ পতন পুরোপুরি বন্ধ হয়। এরপর টানা একমাস এমন চলার পরে ডিসেম্বর থেকে থিতু হতে শুরু করে শীত। কিন্তু মাঝেই মাঝেই ব্রেক কষছিল ঠাণ্ডা। প্রতিবারই তা চরমে পৌঁছেছে। সর্বনিম্ন , সর্বোচ্চ উভয়ের ক্ষেত্রেই তা হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.