ইসলামাবাদের মাথাব্যথার কারণ আরএসএস, ফের রাষ্ট্রসংঘে ভারতের কড়া বার্তা হজম পাকিস্তানের
সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে পাকিস্তান। রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে সাহায্য করতে পারছে না তাদের পরম বন্ধু চানও। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের উপর থেকে নজর ঘোরাতে পাকিস্তান 'কাউন্টার অ্যাটাক'-এর পথ অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে পাকিস্তানের সেই পরিকল্পনা বুমেরাং হয়ে আঘআত দিল তাদেরকেই। ফের ভারতের কড়া কথা হজম করতে হল পাকিস্তানকে।

ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের ধূসর তালিকায় পাকিস্তান
ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের ধূসর তালিকা থেকে তারা বেরতে পারবে কিনা সেই নিয়ে ধন্দে পাকিস্তান, এরই মধ্যে কয়েকদিন আগে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের আরএসএসকে হিংসাত্মক চরমপন্থী দল বলে আখ্যা দিয়ে তাদের নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে। এরই জবাবে এদিন পাকিস্তানকে নিজেদের মুখ আয়নায় দেখার পরামর্শ দিল ভারত।

সব আক্রমণের বিরুদ্ধে সংগবদ্ধ হতে হবে
এদিন ভারতের তরফে এই বিষয়ে বলা হয়, 'বিশ্ব জুড়ে বেড়ে চলা সন্ত্রাসবাদ বেড়ে চলেছে। এবং এই পরিস্থিতিতে জঙ্গি কার্যকলাপের শিকার হচ্ছে ধর্মীয় স্থানগুলি। বমিয়ানে বুদ্ধ মূর্তি ধ্বংস থেকে শুরু করে কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানে মন্দির নষ্ট, একের পর এক উদাহরণ আমরা দেখেছি। আমাদের এই সব আক্রমণের বিরুদ্ধে সংগবদ্ধ হতে হবে।'

পাকিস্তানকে আক্রমণ ভারতের
এরপর পাকিস্তানকে আক্রমণ করে ভারতের তরফে বলা হয়, 'এটি অত্যন্ত বিদ্রূপের বিষয়। যে দেশটিতে সাম্প্রতিক সময়ে একটি ঐতিহাসিক হিন্দু মন্দিরের উপর হামলার মতো ধ্বংসাত্মক ঘটনা ঘটে। তারা আমাদের বিরুদ্ধে 'শান্তির সংস্কৃতি' সংক্রান্ত প্রস্তাবনা আনছে। সেই দেশে এই ধরণের হামলার ধারাবাহিক ঘটনা ঘটেছে এবং সেখানে সংখ্যালঘুদের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। এহেন প্রস্তাবনার পিছনে লুকাতে পারে না পাকিস্তান।'

পাকিস্তানে মন্দির ভাঙে দুষ্কৃতীরা
উল্লেখ্য, স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই কয়েক দশকের পুরনো একটি হিন্দু মন্দিরের সংস্কার কাজ চলছিল খাইবার পাখতুনখোওয়ার করাক জেলার টেরি গ্রামে। অভিযোগ, স্থানীয় এক মৌলবীর নেতৃত্বে জমিয়ত উলেমায়ে ইসলাম পার্টির কয়েক'শো সদস্য সেখানে হানা দেয়। পুরনো মন্দিরের পাশে নতুন করে যে নির্মাণ শুরু হয়েছিল, তা ভেঙে গুঁড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয় তারা। যদিও পরে চাপে পড়ে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পদক্ষএপ নেয় প্রাদেশিক সরকার। গ্রেফতার হয় ৩০ জন।