গুরুগ্রাম: করোনার ভ্যাক্সিন নেওয়ার ৬ দিন পর মৃত্যু হল এক স্বাস্থ্যকর্মীর। হরিয়ানার গুরুগ্রামের ঘটনা। স্বাভাবিকভাবেই এই মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে।

ভাংরাউলার পিএইচসি সেন্তারে কর্মরত ছিলেন রাজবন্তী নামের এক স্বাস্থ্যকর্মী, বয়স ৫৫। গত ১৬ জানুয়ারি ভ্যাক্সিন নেন তিনি।

ভ্যাক্সিন নেওয়ার ১৩০ ঘন্টা পরে নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয় ওই স্বাস্থ্যকর্মীর। রাজবন্তীর পরিবার জানিয়েছে, তাঁকে সকালে ডাকা হলে তিনি ঘুম থেকে ওঠেননি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। যদিও ভ্যাক্সিন নেওয়ার পর তাঁর শরীরে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

আপাতত রাজবন্তীর পরিবার ভ্যাক্সিনের উপর নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়েছেন। গুরুগ্রামের নিউ কলোনি থানায় একটি এফআইআর করেছেন রাজবন্তীর ছেলে।

গুরিগ্রামের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ড. বীরেন্দ্র যাদব বলেন, পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত রাজবন্তীর মৃত্যুতে ভ্যাক্সিনকে দায়ী করা উচিৎ হবে না।

এখনও পর্যন্ত ১০ লক্ষ মানুষকে ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে।

গত সপ্তাহের শনিবার অর্থাৎ ১৬ জানুয়ারি থেকে ভ্যাক্সিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রথম দিনেই ২ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীকে দেওয়া হয় ভ্যাক্সিন। মোট ১৭০০০ জনকে ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় দিনে। দ্বিতীয় দিনেই কেন্দ্র জানায় এর মধ্যে ৪৪৭ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে।

রাজ্যগুলিকে প্রতি সপ্তাহে চার দিন করে ভ্যাক্সিন দেওয়ার প্রক্রিয়া চালানোর কথা বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্য ভ্যাক্সিন দেওয়ার দিনও ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশে সপ্তাহে ৬ দিন ভ্যাক্সিন দেওয়ার অনুমতি চেয়েছে।

১৬ জানুয়ারি ভারতের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। এদিন শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে ভ্যাক্সিন নেওয়ার প্রক্রিয়া। ভারতের জনসংখ্যার নিরিখে এটাই বিশ্বের সবথেকে বড় ভ্যাক্সিন ড্রাইভ। আর প্রথম দিনেই উদ্বেগের খবর আসে রাজধানী দিল্লি থেকে।

জানা গিয়েছে, একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী এই ভ্যাক্সিন নেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।