পুণে: সম্প্রতি করোনা ভ্যাক্সিন প্রোডাকশনের জন্যই শিরোনামে উঠে এসেছে সেরাম ইনস্টিটিউটের নাম। এই সংস্থা বিশ্বের অন্যতম বড় ভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারক সংস্থা। তাই ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। এবার সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে বেশ কিছু ভ্যাক্সিনের ভবিষ্যৎ নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে। এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, নির্মীয়মাণ যে বাড়িটিতে আগুন লাগে সেখানে বিসিজি ভ্যাকসিনের ওয়ার্কশপ তৈরি হচ্ছিল। সমস্ত পরিকাঠামোই আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেরাম বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে, এই অগ্নিকাণ্ডে কোভিশিল্ডের কারখানা অক্ষত থাকলেও বিসিজি ভ্যাক্সিন তৈরির ইউনিটটির ক্ষতি হয়েছে।
ভবিষ্যতে বিসিজি ও রোটাভাইরাস ভ্যাকসিন উত্পাদনে প্রভান পড়তে পার এবলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে সেরাম ইনস্টিটিউটের মঞ্জরী কমপ্লেক্সে টার্মিনাল ১ গেটের কাছে একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে আগুন লাগে। দ্রুত সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাড়িটির অন্যান্য অংশে।
মঞ্জরী কমপ্লেক্সে পাশাপাশি আট থেকে ন’টি বিল্ডিং রয়েছে। সেখানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। নির্মীয়মাণ বাড়িটিতে সেই সময় কাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। তাঁরা ভিতরেই আটকে পড়েন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় পাঁচজনের।
মহারাষ্ট্রের, স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপে বলেছেন এদিন ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। চারপাশে অনেক দাহ্য বস্তু ছড়ানো ছিল। সেখান থেকেই আগুন লেগেছে বলে মনে করা হচ্ছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গতকালই দুর্ঘটনাস্থলে যান মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার।
তিনি বলেছেন, আগুন লাগার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা তাও দেখা হচ্ছে। মৃত শ্রমিকদের পরিবারের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.