পানাজি: শক্তিশালী মুম্বই সিটি এফসি’র বিরুদ্ধে জয়ের প্রত্যাশা হয়তো সেভাবে করেননি কেউই। তবু শেষ সাত ম্যাচের পারফরম্যান্সে টিমটিমে একটা আশার আলো দেখছিলেন অনেকেই। কিন্তু ২৭ মিনিটে মোর্তাদা ফলের করা একমাত্র গোলে সাত ম্যাচ পর হারের মুখ দেখল রবি ফাওলারের টিম ইস্টবেঙ্গল। একইসঙ্গে শেষ চারের দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ল কলকাতা জায়ান্টরা।
প্রথম লেগে ০-৩ গোলে হারের স্মৃতি মাথায় নিয়েই এদিন মাঠে নেমেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। তবে আগের ইস্টবেঙ্গল আর এই ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে পার্থক্য অনেকটাই। যদিও আক্রমণভাগে তুরুপের তাস ব্রাইটকে বাইরে রেখেই এদিন একাদশ সাজিয়েছিলেন রবি ফাওলার। পিলকিংটন-ম্যাঘোমার সঙ্গে আক্রমণভাগে জুড়ে দিয়েছিলেন অনভিজ্ঞ হরমনপ্রীতকে। প্রথমার্ধে তুল্যমূল্য লড়াই ছুঁড়ে দিলেও ইস্টবেঙ্গলের তুলনায় অনেক বেশি ইতিবাচক গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল সার্জিও লোবেরার মুম্বই। একটি ক্ষেত্রে দুরন্ত দেবজিত এরিয়াল বল দস্তানাবন্দি করতে ব্যর্থ হলে সুযোগ চলে আসে হুগো বোউমাসের কাছে।
কিন্তু ওপেন সিটার মিস করে বসেন ফরাসি মিডফিল্ডার। কিন্তু লাল-হলুদ দুর্গে ক্রমাগত আক্রমণের ফল হাতেনাতে পায় আইল্যান্ডাররা। ২৭ মিনিটে সাই গড্ডার্ডের কর্নার ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে প্রতিহত হলেও ফিরতি বলে ফলের উদ্দেশ্যে মাপা লব রাখেন বোউমাস। উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে অরক্ষিত ফল গোল করে এগিয়ে দেন মুম্বইকে। এরপরেও বিক্ষিপ্ত কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল মুম্বই। কিন্তু স্কোরলাইন পরিবর্তন হয়নি। উল্টোদিকে প্রথমার্ধে দু’টি হাফচান্স ছাড়া ইস্টবেঙ্গলের জন্য বলার কিছু নেই। বল পজেশন নিজেদের দখলে রাখলেও ব্যাকপাসে খেলার ছন্দ হারাচ্ছিল লাল-হলুদ।
দ্বিতীয়ার্ধে সুরচন্দ্র এবং অঙ্কিতকে তুলে মহম্মদ রফিক এবং রানা ঘরামিকে মাঠে নামান ফাওলার। তুলনায় কিছুটা ছন্দ ফেরে ইস্টবেঙ্গলের খেলায়। পক্ষান্তরে দ্বিতীয়ার্ধে সেই অর্থে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে পরীক্ষার সামনে ফেলতে ব্যর্থ হয় লোবেরার দল। ৬৪ মিনিটে স্টেইনম্যানের পরিবর্তে ব্রাইট মাঠে নামতে আরও সংঘবদ্ধ আক্রমণ করতে শুরু করে লাল-হলুদ। কিন্তু রক সলিড ফল নেতৃত্বাধীন মুম্বই রক্ষণের ডেডলক ভাঙার চাবি কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছিলেন না লাল-হলুদ ফুটবলাররা। ৬৪ মিনিটে কর্নার থেকে ফক্সের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
ম্যাচের শেষ কোয়ার্টারে মুম্বইকে আরও চেপে ধরেন ম্যাঘোমারা। নির্ধারিত সময়ের আট মিনিট আগে ফক্সের পরিবর্তে নামা অ্যারন হলওয়ে দিনের সেরা সুযোগটা সাজিয়ে দিয়েছিলেন হরমপ্রীতের জন্য। কিন্তু অভিজ্ঞতার অভাবে কার্যত ওপেন সিটার ক্রসবারের উপর দিয়ে বাইরে পাঠান পঞ্জাব স্ট্রাইকার। শেষ অবধি দ্বিতীয়ার্ধে দুরন্ত ইস্টবেঙ্গলকে রুখে দিয়ে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করে আইল্যান্ডাররা। এই জয়ের ফলে ১২ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষে অবস্থা আরও মজবুত করল মুম্বই। অন্যদিকে ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দশ নম্বরেই রইল ইস্টবেঙ্গল।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.