নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতে বড়সড় ধাক্কা খায় বিশ্ব অর্থনীতি৷ এর প্রভাব থেকে বাদ যায়নি ভারতও৷ এক্ষেত্রে প্যান্ডেমিকের প্রভাব দুটি পর্যায়ে ভাগ করা যেতে পারে৷ মার্চ থেকে শুরু হওয়া দীর্ঘ লকডাউন আর তার পরবর্তী পর্যায়৷ বেশ কিছু ছোট ছোট সমীক্ষা ও রিপোর্টের ভিত্তিতে বলা যায়, শুধু লকডাউনের সময়েই নয়, পরবর্তী পর্যায়েও কর্মসংস্থান ও উপার্জনের ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা এসেছে ভারতে৷ ২০২০ সালের অগাস্ট মাসের পর থেকে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অসমতা দেখা দিয়েছে৷
এমনটাই বলছে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়া ইকোনমি’স কনজিউমার পিরামিড হাউজহোল্ড সার্ভে৷ জানা গিয়েছে, গত বছর অগাস্ট মাসের মধ্যেই প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মী কোভিড পূর্ববর্তী কর্মস্থলে ফিরে গিয়েছেন৷ তবে এই সামগ্রিক সংখ্যাটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে পৃথক৷ আনুপাতিকভাবে, সবচেয়ে বেশি কাজ হারিয়েছে কম বয়সী শ্রমিকরা৷
পুনরায় কাজ ফিরে পেতে মহিলা কর্মীদের মতোই এক কঠিন সংগ্রাম চালাচ্ছে তারা৷ দেখা গিয়েছে, যখন কর্মসংস্থানের হার বৃদ্ধি পেয়েছে, তখন কর্মসংস্থানের গুণমান হ্রাস পেয়েছে৷ অনেকেই কৃষি, নির্মাণ এবং ক্ষুদ্র বাণিজ্যে কম সুরক্ষিত ও পরিবর্তনশীল কর্মসংস্থানে যোগ দিয়েছেন৷
কনজিউমার পিরামিডস হাউজিং সার্ভে বছরে তিনবার প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার বাড়িতে গিয়ে খোঁজ চালায়৷ তারা লকডাউনের সময় এপ্রিল-মে মাসে মূলত টেলিফোনের মাধ্যমে ডোর টু ডোর সার্ভে চালায়৷ দেখা গিয়েছে লকডাউনে প্রবীণদের তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তরুণ কর্মীরা৷
১৫ থেকে ২৪ বছর বসয়ী প্রায় ৫৯ শতাংশ কর্মী লকডাউনে তাদের কাজ হারিয়েছেন৷ সেখানে ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সীরা কাজ হারিয়েছেন ৪০ শতাংশ৷ এবং ৩৫ থেকে ৪৪ বছরের কর্মীদের মধ্যে কর্মহীন হয়েছেন ৩৫ শতাংশ৷ এছাড়াও দেখা গিয়েছে, বয়সে বড় চারগুণ কর্মী অগাস্ট মাসের মধ্যেই পুরনো কাজের জায়গায় ফিরে গিয়েছেন৷ কিন্তু এখনও লড়াই চালাচ্ছেন কম বয়সীরা৷ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর কাজ করা প্রতি ১০০ জনের মধ্যে লকডাউনে কাজ হারায় ৩৬ জন৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.