অর্ধ–সিদ্ধ ডিম–মাংস খাবেন না, বার্ড ফ্লু নিয়ে এফএসএসএআইয়ের একাধিক সতর্কতা
দেশজুড়ে বার্ড ফ্লুয়ের আতঙ্ক। বেশ কিছু রাজ্যে দেখা গিয়েছে এই ফ্লুয়ের প্রকোপ। দেশবাসীকে সতর্ক করতে এবার ময়দানে নামল এফএসএসএআই। বৃহস্পতিবার খাদ্য নিয়ামক সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অর্ধ–সেদ্ধ ডিম এবং ভালোভাবে রান্না না করা মাংস যেন না খায়। এরই সঙ্গে এও বলা হয়েছে যে সরকারের নির্দেশিকা মেনে পোলট্রির মাংস পুরোপুরি রান্না করে তবেই যেন খায়।

অযথা আতঙ্কিত হবেন না
ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি (এফএসএসএআই) উপভোক্তা ও খাদ্য ব্যবসায়ীদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন যে তারা যেন আতঙ্কিত না হয় এবং নির্দেশিকা তথ্যে বর্ণিত সুরক্ষার জন্য মুরগির মাংস এবং ডিমের সঠিক পরিচালনা ও রান্না নিশ্চিত করুক। বার্ড ফ্লু বা এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা ছ'টি রাজ্যের পোলট্রি পাখির মধ্যে নিশ্চিতভাবে পাওয়া গিয়েছে। এই রাজ্যগুলি হল কেরল, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড় ও পাঞ্জাব। ভারতে সেপ্টেম্বর ও মার্চ মাসে শীতকালের সময় বাইরে থেকে আসা পরিযায়ী পাখিদের মাধ্যমে এই বার্ড ফ্লু দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা কি
নিয়ামক সংস্থার মতে, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে বার্ড ফ্লু হয়। এই ফ্লু সাধারণত পাখিদের মধ্যেই দেখা যায়। বন্য পাখিরা সাধারণত তাদের শরীরে এই রোগ বহন করে, যদিও তাদের থেকে অসুস্থ হওয়ার কোনও খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে পাখিদের মধ্যে বার্ড ফ্লু অত্যন্ত সংক্রমক একটি রোগ এবং এই ফ্লু মুরগী ও হাঁস সহ কিছু পোষা পাখিকে খুব অসুস্থ করে মেরেও দিতে পারে।

কীভাবে ছড়ায় এই ভাইরাস
এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বেশিরভাগ স্ট্রেন মূলত সংক্রমিত পাখির শ্বাস-প্রশ্বাসে এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টগুলিতে পাওয়া যায়, মাংসে নয়। যদিও এইচ৫এন১ স্ট্রেনের মতো ভাইরাসগুলি পাখিদের পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে, এমনকী মাংসেও। সংক্রমিত পাখি যদি ডিম দেয়, সেই ডিমের মধ্যেও এই ভাইরাস থাকতে পারে। সাধারণত অসুস্থ পাখি ডিম দেওয়া বন্ধ করে দেয়, তবে রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে ডিম পাড়লে সেই ভাইরাস ডিমের সাদা অংশ ও কুসুমের পাশাপাশি ডিমের খোলসের মধ্যেও ভাইরাস থাকতে পারে।

কি করবেন আর কি করবেন না
এফএসএসএআই বলেছে, ‘ডিম ও মাংস সম্পূর্ণভাবে রান্না করলে ভেতের থাকা ভাইরাস নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়বে। আক্রান্ত রাজ্যের পোলট্রির মাংস বা ডিম কেনা নিষিদ্ধ এবং কাঁচা বা আংশিকভাবে রান্না করা মাংস-ডিম খাওয়া অনুচিত।' তবে মাংস বা ডিম খাওয়ার পর কোনও ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এখনও পর্যন্ত এ ধরনের খবর পাওয়া যায়নি। এফএসএসএআই তার নির্দেশিকায় কোনও মৃত পাখিকে খালি হাতে স্পর্শ করতে বারণ করেছে, কাঁচা মাংস পরিচালনা করার সময় মাস্ক ও গ্লাভস পরা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে। করোনা ভাইরাসের বিধির মতো এখানেই হাত বারবার ধোওয়ার ও স্যানিটাইজড করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পোলট্টি ও খামারগুলিকে জীবাণুমুক্ত করতে বলেছে খাদ্য নিয়ামক সংস্থা।
দল ঘোষণা করেই মাদ্রাসা শিক্ষকদের আন্দোলনকে সমর্থন আব্বাস সিদ্দিকির